শুক্রবারও রায়গঞ্জের বাজারে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে বহু বাসিন্দাকে। —নিজস্ব চিত্র।
দুর্গাপুজোর পর থেকেই রায়গঞ্জের একাধিক এলাকায় ফের বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। পরিস্থিতি বেলাগাম হওয়ার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে রায়গঞ্জের দু’টি ওয়ার্ডের কিছু অংশ মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করল পুর প্রশাসন।
পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের কাউন্সিলর ইনচার্জ বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করা হচ্ছে। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘রায়গঞ্জের ১ এবং ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হয়েছে। দুর্গাপুজোর পর থেকেই ১ নম্বর ওয়ার্ডে ধূমকেতু ক্লাবের আশপাশের এলাকায় একের পর এক মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে দেবপুরীর আশপাশে অন্তত পাঁচ জনের মধ্যে সংক্রমণ ধরা পড়েছে।’’
প্রশাসন কঠোর হলেও করোনার সংক্রমণ নিয়ে সাধারণ মানুষের হুঁশ ফিরেছে কি? শুক্রবার রায়গঞ্জের বাজারে মাস্ক ছাড়াই ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে বহু বাসিন্দাকে। সকাল সকাল মাস্ক ছাড়াই বাজারে এসেছেন স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষ্মী মোহান্ত। করোনার আতঙ্ক সত্ত্বেও কেন এই আচরণ? এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে অনেক ভেবেও সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। বাজারের ভিতরে নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দোকান রয়েছে ৭০ বছরের ছোট্টুলাল সাহা। শুক্রবার সেই দোকানে মাস্ক ছাড়াই বসেছিলেন বৃদ্ধ। দোকানের কর্মীরাও তাঁর মতোই মাস্কবিহীন হয়ে বিক্রিবাটা করছেন। নির্লিপ্ত ভাবে বৃদ্ধ বলেন, ‘‘এখনও করোনা যায়নি। তবে দোকানের ভিতরে রয়েছি বলে মাস্ক পরিনি। বাইরে গেলে মাস্ক পরি।’’
আম জনতার এই আচরণ নিয়ে চিন্তিত প্রশাসনও। এলাকায় বহু জায়গায় করোনার সংক্রমণ বেড়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন রায়গঞ্জ পুরসভার পুরপতি সন্দীপ বিশ্বাস স্বয়ং। তবুও হুঁশ ফিরছে না জনতার। বরুণ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষকে বরাবরই সচেতন করার কাজ করছি আমরা। তবে দুর্গাপুজোর পরে মানুষ বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। পুলিশ-প্রশাসন এবং পুরসভার তরফে মাইকের মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। এলাকার কারও বাড়িতে কেউ অসুস্থ রয়েছেন কি না, সে বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি। মানুষজন যাতে দূরত্ব বজায় রাখেন বা মাস্ক পরেন, তা আগের মতোই লক্ষ্য রাখব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy