Advertisement
E-Paper

কেন্দ্রীয় নির্দেশ ঘিরে বিভ্রান্তি, খুলল দোকান

স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি ওই নির্দেশের অপব্যাখ্যা করেই শিলিগুড়িতে দোকানপাট খোলার প্রবণতা দেখা গিয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২০ ০৫:১৯
রাস্তায় লাইন। নিজস্ব চিত্র

রাস্তায় লাইন। নিজস্ব চিত্র

এক মাসের বেশি সময় হয়ে গিয়েছে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকানপাট ছাড়া বাকি সব বন্ধ। রাজ্য সরকারের নির্দেশে অল্প করে খুলতে হতে শুরু করেছে নির্মাণ এবং তথ্যপ্রযুক্তির মত কিছু কেন্দ্র। এর মধ্যেই দোকানপাট খোলার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন নির্দেশ ঘিরে চূড়ান্ত বিভ্রান্তি ছড়াল শিলিগুড়িতে। রবিবার রাত থেকে ওই নির্দেশ বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন বাজারে খুলতে শুরু করে সেলুন, কাপড়ের দোকান, বইয়ের দোকান। কিন্তু রাজ্যের তরফে এরকম কোনও নির্দেশ ছিল না বলে পুলিশ ও ব্যবসায়ী সংগঠনগুলি সেই সব দোকান বন্ধ করিয়ে দেয়। বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয় অনেক ব্যবসায়ীকে। শনিবার সকাল থেকে বাইক, অটো এবং টোটো চালু হয়ে যায় শহরের বিভিন্ন জায়গায়। এ দিন বিকেল পর্যন্ত শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট এলাকায় বিধি ভাঙায় গ্রেফতারের সংখ্যা ছিল ৬০ জনের নিচে।

স্থানীয় প্রশাসনের কর্তারা জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় সরকারি ওই নির্দেশের অপব্যাখ্যা করেই শিলিগুড়িতে দোকানপাট খোলার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক সুমন্ত সহায় বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের অনুমোদন ছাড়া কোনও দোকানপাট খোলা যাবে না। কেন্দ্রীয় নির্দেশিকাতেও গত ১৫ এপ্রিলের একটি নির্দেশের উল্লেখ রয়েছে। সেখানেই রাজ্যের অনুমোদনের কথা বলা হয়েছে।’’ যদিও এ দিন সকাল থেকেই গেটবাজারে সেলুন, হার্ডওয়্যার, চম্পাসারিতে এবং মহাবীরস্থান এলাকায় কয়েকটি কাপড়ের দোকান এবং শিলিগুড়ি চিলড্রেন্স পার্ক এলাকাতেও তিনটি বইয়ের দোকান খোলা ছিল বলে অভিযোগ। দোকানদারদের বেশিরভাগই জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় নির্দেশের খবর পেয়েই দোকান খুলেছেন তাঁরা। শিলিগুড়ির বই বিক্রেতাদের সংগঠনের নেতা আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, দোকান খোলার এখনও কোনও নির্দেশ রাজ্য সরকারের তরফে আসেনি।

বৃহত্তর শিলিগুড়ি খুচরো ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব রায় মুহুরি বলেন, ‘‘নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ছাড়াও সকালে কিছু দোকান খোলা হচ্ছে বলে খবর পেয়ে পুলিশ এবং আমাদের শাখা সংগঠনগুলিকে দিয়ে তা বন্ধ করাই। এই বিভ্রান্তি প্রশাসনের দূর করা উচিত।’’ সূত্রের খবর, এ দিন সকালে বিধানমার্কেট, হায়দারপাড়া বাজারে ফ্যান, জুতো এবং বাসনের দোকানের মতো কয়েকটি দোকান খোলার জন্য হাজির হয়েছিলেন ব্যবসায়ীরা। তাঁদেরও বারণ করে ফেরত পাঠায় প্রশাসন।

ওই নির্দেশিকার জেরেই এ দিন সকাল থেকে শিলিগুড়ির হিলকার্ট রোড, বিধান রোড এবং বর্ধমান রোডে অন্যান্য দিনের তুলনায় গাড়ি অনেক বেশি নজরে এসেছে। ভিড় জমে বাজারগুলিতেও। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার ত্রিপুরারি অথর্ব বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের নির্দেশ ছাড়া কোনও দোকানপাট খুললেই ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শিলিগুড়িতে লকডাউন বিধি ভাঙার জন্য যেরকম গ্রেফতার করা হচ্ছে। তা চলবে।’’

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy