E-Paper

পুনর্নির্বাচনের দাবিতে পথে বাম ও কংগ্রেস

সন্ধ্যায় বাহিন পঞ্চায়েতের মহারাজপুর বুথে কংগ্রেস প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সিপিএম নেতা মহম্মদ নবাবকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।

গৌর আচার্য 

শেষ আপডেট: ১২ জুলাই ২০২৪ ০৯:০৭
পুননির্বাচনের দাবিতে পখ অবরোধ চলাকালীন বাম-কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা।

পুননির্বাচনের দাবিতে পখ অবরোধ চলাকালীন বাম-কংগ্রেসের নেতা ও কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা। ছবি: গৌর আচার্য।

রায়গঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে পুলিশ ও প্রশাসনের মদতে বহু বুথে তৃণমূল ‘ছাপ্পা’ ভোট দিয়েছে অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামল কংগ্রেস ও বামেরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাম-কংগ্রেসের কয়েকশো নেতা ও কর্মী সেই সব বুথে পুনর্নির্বাচনের দাবিতে শহরের ঘড়ি মোড় এলাকার রাজ্যসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ অবরোধ তোলার চেষ্টা করলে উত্তেজনা চরমে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বচসা ও তর্কাতর্কি বেধে যায়। ঘণ্টাখানেক পরে, পুলিশের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নেন। অন্য দিকে, রায়গঞ্জ পলিটেকনিক কলেজের স্ট্রংরুমে কড়া নিরাপত্তা এবং নজরদারির ব্যবস্থা করেছে কমিশন।

বুধবার উপনির্বাচনের রাতেই এই কেন্দ্রের বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারের কাছে লিখিত ভাবে রায়গঞ্জ বিধানসভার ৬২টি বুথে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ‘ছাপ্পা’ ভোট দেওয়ার লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। সন্ধ্যায় বাহিন পঞ্চায়েতের মহারাজপুর বুথে কংগ্রেস প্রার্থীর পোলিং এজেন্ট সিপিএম নেতা মহম্মদ নবাবকে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে। পাল্টা, নবাব ও সিপিএম কর্মীদের বিরুদ্ধেও এলাকার এক তৃণমূল কর্মীকে পাল্টা মারধরের অভিযোগ ওঠে। পুলিশ নবাবকে গ্রেফতার করায় এ দিনের আন্দোলনে বামেরা পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তোলেন।

উত্তর দিনাজপুর জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তুষার গুহ ও সিপিএম জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য উত্তম পালের দাবি, উপনির্বাচনের দিন পুলিশ ও প্রশাসনের মদতে তৃণমূল বহু বুথে কোথাও বিরোধী পোলিং এজেন্টদের বার করে, কোথাও বুথ ‘জ্যাম’ করে তাদের প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণীর সমর্থনে ‘ছাপ্পা’ ভোট দিয়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বক্তব্য, “কিছু বুথে বিরোধীরা গিয়ে প্ররোচনা দিয়ে গোলমাল করেছে। ভোটে বাম-কংগ্রেসের জামানত বাজেয়াপ্ত হবে বুঝতে পেরে ভিত্তিহীন অভিযোগ তোলা হচ্ছে।” রায়গঞ্জ বিধানসভার রিটার্নিং অফিসার কিংশুক মাইতি ও রায়গঞ্জ সদরের ডিএসপি সুরজ ঠাকুরির দাবি, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে। পুলিশ ও প্রশাসন আইন মেনেই কাজ করছে।

অন্য দিকে, পলিটেকনিক কলেজের ‘স্ট্রং রুম’-এর জন্য ৩০ জনেরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে নদরদারির কাজে লাগিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ‘স্ট্রং রুম’-এ ১৬টিরও বেশি সিসি ক্যামেরা, লোডশেডিং হলেও বিদ্যুৎ সরবরাহ সচল রাখতে অতিরিক্ত ব্যাটারি বসানো হয়েছে। পুলিশ, প্রশাসনের আধিকারিকদের ‘স্ট্রং রুম’-কে কেন্দ্র করে কার্যালয়ে ঢোকা ও বেরোনোর ক্ষেত্রে খাতায় সই করে সময় উল্লেখ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

raiganj CPIM Congress

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy