আবাস যোজনা প্রকল্পের ঘর তৈরিতে বালি-পাথরের চড়া দামের অভিযোগ উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে অভিযোগ উঠছে রাজমিস্ত্রি, ঠিকাশ্রমিক না পাওয়ারও। এ সবের জেরে বাড়ির কাজ পিছিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এ বার পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রকল্পের উপভোক্তাদের বাড়িতে বাড়িতে যাচ্ছেন দার্জিলিঙের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল। বৃহস্পতিবার তিনি শিলিগুড়ির নকশালবাড়়ির বিভিন্ন এলাকা ঘোরেন। উপভোক্তাদের বাড়িতে গিয়ে ঘর তৈরিতে কোনও সমস্যা রয়েছে কিনা, তা-ও শুনেছেন।
জেলাশাসক বলেন, ‘‘আবাস প্রকল্পের কোথাও কোনও ঘাটতি থাকলে মেটানোর চেষ্টা করছি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে এলাকায় ঘুরে সমস্যার কথা শুনছেন আধিকারিকেরা। আলোচনা করে ঘাটতি মেটানোর চেষ্টাও করা হচ্ছে।’’
অভিযোগ উঠেছে, মহকুমায় কয়েকটি নদীঘাটের লিজ়ের মেয়াদ অনেক আগে শেষ হয়েছে। কিছু ঘাটে বালি, পাথর মজুতের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। নিয়মের ফাঁকে অবৈধ খনন চলছে। তার জেরে বালি, পাথরের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি একসঙ্গে অনেক ঘর তৈরির জন্য শ্রমিক পাওয়ার ক্ষেত্রেও সমস্যা তৈরি হয়েছে। তাতে উপভোক্তাদের অনেকের বাড়ির কাজ পিছিয়ে যাচ্ছে। অনেক সাধারণ পরিবারের একমাত্র থাকার ঘর আগেই ভেঙে দেওয়ার জেরে কনকনে ঠান্ডায় কষ্টে দিন কাটাতে হচ্ছে। তাঁদের ক্ষেত্রে কী ভাবে সমস্যা মেটানো যায়, তা দেখতে প্রশাসনের তরফে আধিকারিকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন ফাঁসিদেওয়ার বিডিও বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আবাস প্রকল্পের কাজ দেখেছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার আবাস প্রকল্পের বরাদ্দ বন্ধ করেছে বলে অভিযোগ। রাজ্য সরকার সেই সুবিধা উপভোক্তাদের দিচ্ছে। উপভোক্তাদের নতুন তৈরি ঘরে ‘বাংলার বাড়ি’ লেখা বোর্ড টাঙানোর দাবি উঠছে তৃণমূলের তরফে। শিলিগুড়ির মহকুমাশাসক অবোধ সিংহল এ নিয়ে বলেন, ‘‘এমন কোনও নির্দেশ এখনও আসেনি।’’
জেলাশাসক এ দিন নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালেও যান। তিনি একটি ওয়ার্ডে ঢুকে খোঁজখবরও নেন। সেখানকার একটি ভবনের কাজ শেষ হয়েছে কিনা, তা দেখতেই জেলাশাসক হাসপাতালে গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। নকশালবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে রোগী পরিষেবা নিয়ে মাঝেমাঝেই নানা অভিযোগ ওঠে। তা সমাধানের দাবি তুলেছেন রোগীর পরিজনদের অনেকেই।নকশালবাড়ি বিএমওএইচ কুন্তল রায় বলেন, ‘‘রোগী পরিষেবার দিকে নজর রাখা হচ্ছে। জেলাশাসক হাসপাতালের কাজ দেখে খুশি হয়েছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)