নতুন বছর থেকে দার্জিলিং মেলের পুরো গতিপথই চলবে বিদ্যুত চালিত ইঞ্জিনে। শুক্রবার জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশন পরিদর্শনে কাটিহার ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার সুরেন্দ্র কুমার। ছবি - সন্দীপ পাল
নতুন বছরে পুরো যাত্রাপথই বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনের টানে ছুটবে দার্জিলিং মেল। ডিজ়েল ইঞ্জিনের সঙ্গে পাকাপাকি ভাবে সম্পর্কছেদ হতে চলেছে শতাব্দীপ্রাচীন এই ট্রেনের। এক সময়ে কয়লার ইঞ্জিন টেনে নিয়ে যেত দার্জিলিং মেলকে। স্বাধীনতার পরে, দার্জিলিং মেলের যাত্রাপথ পাল্টায়। কয়লার ইঞ্জিন বদলে যায় ডিজ়েল ইঞ্জিনে। নতুন বছরে রানিনগর থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত রেলপথে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিন দৌড়বে। বর্তমানে নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) থেকে হলদিবাড়ি ডিজ়েল ইঞ্জিনের টানে চলাচল করে দার্জিলিং মেল। শুক্রবার উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের কাটিহার বিভাগের ডিআরএম সুরেন্দ্র কুমার বলেন, “নতুন বছরেই বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিন চালানো হবে হলদিবাড়ি-এনজেপি লাইনে। তখন দার্জিলিং মেল পুরো পথে বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনে চলাচল করবে।” এতে ট্রেন চলাচলের সময় বাঁচবে। পাশাপাশি, জলপাইগুড়ি টাউন স্টেশনে দার্জিলিং মেলের স্টপেরও সময় বাড়বে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রানিনগর হয়ে জলপাইগুড়ি রোড স্টেশন ধরে যে লাইন অসমের দিকে চলে যাচ্ছে সেখানে বৈদ্যুতিক ইঞ্জিন চলে। রানিনগর থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিন চলাচলের পরিকাঠামো ছিল না। বছরখানেক আগে, এই লাইনে ওভারহেড বিদ্যুতের তারের কাজ শুরু হয়। সম্প্রতি তারে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। শুক্রবার এই লাইনে বিদ্যুৎ পরিকাঠামোর পরীক্ষা হয়। ট্রেনে করে ডিআরএম ও রেলের বড় কর্তারা পরিদর্শন করেন। রানিনগর থেকে হলদিবাড়ি পর্যন্ত প্রতিটি স্টেশন, কয়েকটি রেলগেটে নেমে পরীক্ষা হয়েছে। তার পরে, হলদিবাড়ি থেকে বিদ্যুতের ইঞ্জিনচালিত ট্রেন চালিয়ে মহড়া হয়েছে। রেল সূত্রের দাবি, পরীক্ষায় সার্বিক ভাবে পাশ করেছে ওই লাইন।
উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের প্রধান মুখ্য বাস্তুকার রবিলাস কুমার বলেন, ‘‘রেল সুরক্ষা সবার আগে। ছোট কয়েকটি সমস্যা নজরে এসেছে। সেগুলি মেরামতের পরেই, দ্রুত এই পথে ছুটবে বৈদ্যুতিক ট্রেন।" কয়েকটি ছোট-মাঝারি কাজ করতে এক-দু’দিন সময় লাগবে, দাবি রেলের। তার পরে, বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনে ট্রেন ছুটবে। ডিআরএম বলেন, “নতুন বছর থেকেই বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিনে ট্রেন যাতায়াত করবে।” শুধু বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিন পাচ্ছে না মিতালী এক্সপ্রেস। এনজেপি-ঢাকা যাতায়াতকারী এই ট্রেন ডিজ়েলেই চলবে। রেলের দাবি, মিতালীকে বাংলাদেশে পৌঁছে দিয়ে আসে ভারতের ইঞ্জিন। হলদিবাড়ির পরে, বাংলাদেশে বিদ্যুতের পরিকাঠামো নেই, সে কারণে মিতালী এক্সপ্রেস আপাতত বিদ্যুৎচালিত ইঞ্জিন পাচ্ছে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy