জমি থেকে উদ্ধার নাবালিকার দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এই আবহে এ বার মালদহের কালিয়াচক থানার উজিরপুরে চাষের জমি থেকে পাওয়া গেল এক নাবালিকার দেহ। ওই নাবালিকার পরিচয় এখনও জানা যায়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ওই নাবালিকাকে বাইরে থেকে এনে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। যদিও পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে উজিরপুর এলাকায় ঝিঙের জমির মধ্যে নাবালিকার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা খবর দেন পুলিশে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কালিয়াচক থানার পুলিশ। ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। রঞ্জন মণ্ডল নামে উজিরপুর গ্রামের এক বাসিন্দা প্রতি দিনের মতো মঙ্গলবারও গিয়েছিলেন নিজের জমিতে চাষের কাজে। তিনি জানিয়েছেন, নাবালিকার জামাকাপড় অগোছালো অবস্থায় ছিল। তার মুখে এবং পায়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গিয়েছে।
উজিরপুর গ্রামের পঞ্চায়েত সদস্য চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, ‘‘গ্রামবাসীদের থেকে সকালে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ওই কিশোরী এই গ্রামের নয়। অন্য কোনও এলাকার হবে।’’ প্রভাতচন্দ্র মণ্ডল নামে ওই গ্রামের এক বাসিন্দার অভিযোগ, ‘‘ওই কিশোরীকে গণধর্ষণের পর গলা টিপে খুন করা হয়েছে।’’ এই ঘটনায় দোষীদের খুঁজে বার করে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সকলে। এ নিয়ে মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ধর্ষণ হয়েছে কি না তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না। কিশোরীটির পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy