ফাইল ছবি।
চূড়ান্ত হয়ে গেল জলপাইগুড়িতে মেডিক্যাল কলেজের জন্য প্রস্তাবিত জমি। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, জেলা সদর হাসপাতাল ভবনকে সংস্কার করে মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতাল তৈরি হবে। আর সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল লাগোয়া জমিতে মেডিক্যাল কলেজের প্রশাসনিক এবং পঠনপাঠনের ভবন তৈরি হবে।
দু’টি পৃথক এলাকা মিলে মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব রাজ্যের স্বাস্থ্য শিক্ষা দফতর থেকে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে (আইএমএ) পাঠানো হয়েছে। সেই প্রস্তাবে এখনও সিলমোহর দেয়নি আইএমএ। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি, দু’টি পৃথক এলাকায় মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল তৈরির প্রস্তাব পাঠানো ঠিক হয়নি। একমাত্র বড় শহরেই দু’টি ভাগে মেডিক্যাল কলেজের ক্যাম্পাস থাকতে পারে। ছোট শহরে তেমন প্রস্তাব আইএমএ মেনে নেবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান তাঁরা। যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার বলেন, “অপ্রয়োজনীয় ব্যয় রুখতেই এই পরিকল্পনা করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত অনুমোদন পাব।’’ জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান তথা সাংসদ বিজয়চন্দ্র বর্মন বলেন, “স্থানীয় পর্যায়ের প্রস্তাবটিকেই রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর অনুমোদন করেছে।’’
জলপাইগুড়ি সদর তথা জেলা হাসপাতাল রয়েছে শহরের মধ্যে। সেই এলাকার নামেই হয়েছে হাসপাতাল পাড়া। সম্প্রতি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ লাগোয়া এলাকায় দশতলা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। চিকিৎসকের অভাবে সেখানে সব পরিষেবা মিলছে না। পুরনো ভবন সংস্কার করা হবে বলে সম্প্রতি সদর হাসপাতালকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সুপার স্পেশ্যালিটি ভবনে। মেডিক্যাল কলেজের হাসপাতালের জন্য ন্যূনতম ৫০০ শয্যা লাগে। সদর হাসপাতাল সংস্কার করলে সেখানে হাজারের বেশি শয্যা হবে। সব বিভাগের ঘরও পাওয়া যাবে বলে প্রশাসনের দাবি। হাসপাতালের পিছনের জমিতেও নতুন ভবন তৈরি সম্ভব।
অন্যদিকে, সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল লাগোয়া ফাঁকা জমি স্বাস্থ্য দফতরেরই। কিছু পরিমাণ জমি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের, তারা জমি দিতে ইচ্ছুক বলে প্রশাসনকে জানিয়েছে। মেডিক্যাল কলেজ হলে জলপাইগুড়ির অর্থনীতিও ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশা বাসিন্দাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy