অসহায়: সন্তান কোলে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে। ছবি: বিনোদ দাস
যে মেয়েটি হাসপাতালের চাতালে বসে কাঁদছে, তার সন্তান মারা গিয়েছে একটু আগে। মেয়েটির বয়স? পরিবারের দাবি, ঊনিশ বছর। মুখ দেখলে মনে হয়, সতেরো কি আঠারো। শুধু ইনিই নন, এমনই মা সন্তান কোলে প্রায় রোজ বসে থাকছেন উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের চত্বরে। অনেকেরই সন্তানের জন্ম থেকেই নানা শারীরিক সমস্যা। জ্বরও রয়েছে কারও কারও। ডাক্তারেরা অনেকেই বলছেন, এতটুকু বয়সে মা হলে অপুষ্ট বা অপরিণত সন্তানের জন্ম দেওয়া অস্বাভাবিক নয়। এ দিনও এখানে একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। বয়স চার মাস। অস্মিনি খাতুন নামে এই শিশুর হৃদরোগ ছিল বলে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষের দাবি।
বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে ৪৫ জন শিশু ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে জ্বর, সর্দি নিয়ে ১০ শিশুকে ভর্তি করানো হয়। এই মুহূর্তে মেডিক্যালে জ্বর, সর্দি নিয়ে প্রায় ৪০ জন শিশু ভর্তি। হাসপাতালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ‘‘এ দিন জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে কেউ মারা যায়নি। একটি শিশু কনজেনিটাল হার্ট ডিজ়িজ়ে মারা গিয়েছে।’’ দুপুরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, শিশু বিভাগ থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৮ জনকে ছুটি দেওয়া হয়েছে। তার মধ্যে ২ জন জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তি হয়েছিল। উল্টো দিকে, জলপাইগুড়ি হাসপাতাল থেকে ৩ জন, মালবাজার মহকুমা হাসপাতাল থেকে ৩ জন, ইসলামপুর হাসপাতাল থেকে ১ জন এবং শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতাল থেকে ১ জনকে ‘রেফার’ করা হয়েছে। সুপার জানান, পুজোর সময় এই পরিস্থিতিতে যে সমস্ত বিভাগে জরুরি ভিত্তিতে পরিষেবা দিতে হবে, সেখানে পর্যাপ্ত চিকিৎসক, নার্সের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy