উত্তরবঙ্গে সাতাশিটি চা-বাগানের অবস্থা ভাল নয়। শ্রমিকেরা পুরো মাসিক বেতন পাচ্ছেন না। এমনকী রাজ্য সরকারের দেওয়া ২টাকা কিলোদরের চালও পাচ্ছেন না এই শ্রমিকেরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২৭ তারিখ উত্তরবঙ্গ সফরে যাবেন। তার আগে রুগ্ণ বাগানগুলির শ্রমিকদের ভেঙে পড়া খাদ্যশস্য সরবরাহ ব্যবস্থা চাঙ্গা করার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।
২৭ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে একটি পুরোদস্তুর চা নিগমের (টি ডাইরেক্টরেট) দ্বারোদ্ঘাটন করবেন। তাঁর সফরের আগেই যাতে চা শিল্পের পরিস্থিতি কিছুটা উজ্জ্বল হয়, সেই উদ্দেশ্যে রাজ্য সরকার উদ্যোগী হয়েছে।
শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক, শ্রমসচিব, খাদ্যসচিব এবং ইন্ডিয়ান টি অ্যাসোসিয়েশন ও টি অ্যাসোসিয়েশন অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিদের নিয়ে নবান্নে শুক্রবার রাতে বৈঠক করেন মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়। বাগানের মালিকপক্ষ বৈঠকে জানান, ৬টি একান্ত পরিত্যক্ত ছাড়া কোনও বাগানই সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি। তবে খাদ্যসচিবের রিপোর্ট থেকে জানান যায়, ২৩৭টি বাগানের মধ্যে ৮৭টি এতটাই রুগ্ণ হয়ে পড়েছে যে, সেখানকার শ্রমিকেরা ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের ২ টাকা কিলোদরের চালও নিয়মিত পাচ্ছেন না। এই বাগানগুলিতে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তোলা হয়েছে। এই গোষ্ঠীগুলির কাছে কি ভাবে মালিকেরা ‘খাদ্যসাথী’ প্রকল্পের সুযোগসুবিধা পৌঁছে দিতে পারেন, তা অতি দ্রুত করার অনুরোধ জানায় সরকার।
এক সরকারি সূত্র জানান, এই বাগানগুলি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়নি বলে শ্রম দফতরের ‘ফাওলোই’ (ফিনান্সিয়াল অ্যাসিস্ট্যান্স টু দ্য ওয়ার্কার্স অফ লক্ড আউট ইন্ডাস্ট্রিজ) প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা শ্রমিকদের দেওয়া যাচ্ছে না। তবে মালিকপক্ষ জানিয়েছে, পরিত্যক্ত ও রুগ্ণ বাগানগুলির শ্রমিকেরা পাতা তুলে অন্যত্র বিক্রি করে উপার্জন করছেন।
কিন্তু ডানকান সংস্থার ৬টি বন্ধ বাগানের ভবিষ্যৎ কী, এই প্রশ্নের জবাবে শনিবার মুখ্যসচিব বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশে টি বোর্ড বাগানগুলি অধিগ্রহণ করেছে। ফলে সেগুলি চালু করার ব্যাপারে বোর্ডই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকারী।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy