ছবি সংগৃহীত।
প্রায় দেড় দশক ধরে ডেকরেটর্সের ব্যবসা করছি। এর উপরেই স্ত্রী, সন্তান ও পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে চলে। এ বছরের মতো এত খারাপ অবস্থা অতীতে হয়নি। ফলে গত এপ্রিল মাস থেকে সংসারে আর্থিক অনটন লেগে রয়েছে।
বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানে মণ্ডপ ও প্যান্ডেল তৈরির সামগ্রী ভাড়া দিই। রান্নার বাসনপত্র, চেয়ার, টেবিল ও বিছানাপত্রও ভাড়া দেই। লকডাউনের জেরে এপ্রিল মাস থেকে পুজো, বিয়ে, অন্নপ্রাশন, জন্মদিন, শ্রাদ্ধানুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যায়। তখন একটানা তিনমাসেরও বেশি আমাদের কোনও ব্যবসা হয়নি। এরপর আনলক পর্ব শুরু হলেও করোনা আবহে সব অনুষ্ঠানই ছোট করে আয়োজন করা হচ্ছে। সেই থেকে প্যান্ডেল তৈরির সামগ্রী সহ রান্নার বাসনপত্র, চেয়ার, টেবিল ও বিছানাপত্রের চাহিদা কমে যাওয়ায় ভাড়া দিতে পারছি না।
আমাদের মতো ছোট ব্যবসায়ীরা প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজো, দুর্গাপুজো ও কালীপুজোর দিকে তাকিয়ে থাকেন। কিন্তু এ বছর করোনা আবহে রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় ছোট করে বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়। প্রতিবছর আমি রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় চারটি বিশ্বকর্মা পুজো আয়োজনের জন্য মন্ডপ ও প্যান্ডেল তৈরির সামগ্রী সহ ভোগ রান্নার বাসনপত্র, চেয়ার ও টেবিল ভাড়া দিয়েছি। এ বছর একটি মাত্র বিশ্বকর্মা পুজোয় ভাড়া দিতে পেরেছি। কিন্তু ওই পুজোও ছোট করে হওয়ায় উদ্যোক্তারা খুব কম সংখ্যাক সামগ্রী ভাড়া নিয়েছেন।
প্রতি বছর বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই রায়গঞ্জের বিভিন্ন এলাকার ছ’টি দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তারা পুজো আয়োজনের জন্য মণ্ডপ ও প্যান্ডেল তৈরির সামগ্রী, ভোগ রান্নার বাসনপত্র, চেয়ার ও টেবিল ভাড়া দেওয়ার জন্য বরাত দেন। এ বছর এখনও পর্যন্ত একটি দুর্গাপুজোর উদ্যোক্তা সামগ্রী ভাড়া নেওয়ার বরাত দিয়েছেন। তাই এ বছর সপরিবার আর্থিক সঙ্কট নিয়েই দুর্গাপুজো কাটাতে হবে বলে মনে হচ্ছে আমাদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy