ভারী বৃষ্টির দেখা নেই। তার উপর একটানা তীব্র গরমের জন্য মশার দাপট বাড়ায় ডেঙ্গির প্রকোপ জারি রয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। রবিবার হিলি ব্লকের রামকৃষ্ণপুর এলাকা থেকে প্রবল জ্বর নিয়ে পরপর ১১ জন বাসিন্দা স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি হওয়ায় ডেঙ্গির আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হিলি ব্লকের মেডিক্যাল অফিসার সুদীপ কুন্ডু বলেন, ‘‘সকলে গায়ে প্রচন্ড ব্যথা ও জ্বর নিয়ে ভর্তি হন। তাদের রক্তের নমুনা বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে ম্যাক অ্যালাইজা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।’’
পরে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে জানান, ওই ১১ জনের মধ্যে ৭ জনের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্টে ডেঙ্গির জীবাণু মেলেনি। বাকি ৪ জনের রিপোর্ট এখনও পাওয়া যায়নি। অবশ্য গত প্রায় এক মাসে হিলি ব্লকে ৩০ জনের ডেঙ্গি ধরা পড়ে। তাঁরা চিকিৎসায় ভাল আছেন বলে জানিয়ে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, জেলার ডেঙ্গি আক্রান্ত এলাকাগুলিতে মশা মারতে ধোঁওয়া ছড়ানো ও সাফাইয়ের কাজ হয়েছে। তবে স্থানীয় পঞ্চায়েতের তরফে ডেঙ্গি রোধে সচেতনতা ও সাফাই কর্মকাণ্ড নিয়ে কোনও হেলদোল নেই বলে স্থানীয় বাম বিধায়ক বিশ্বনাথ চৌধুরী অভিযোগ করেছেন।
সোমবার বিশ্বনাথবাবু বলেন, ‘‘হিলি ব্লকের চিঙ্গিশপুর, বিনশিরা, রামকৃষ্ণপুর এলাকাগুলিতে রোগের প্রকোপ বেশি। অথচ নর্দমা সাফাই, জমা জল পরিষ্কার এবং মশা নিধনে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েত গুলির তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না। কারণ এক্ষেত্রে আর্থিক লেনদেন নেই।’’ তৃণমূলের তরফে অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়, প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের জেলা সভাপতি শঙ্কর চক্রবর্তীর নির্দেশে চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের উদ্যোগে এলাকায় মশা নিধনে অভিযান চালানো হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর গত দেড়মাসে দক্ষিণ দিনাজপুরে ১১৫ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যুর কোনও খবর নেই। বালুরঘাট হাসপাতালে ৮ জন ডেঙ্গি রোগীর চিকিৎসা চলছে। এদের অধিকাংশই খাসপুর এলাকার বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy