বালুরঘাট হাসপাতাল ভরেছে জ্বরের রোগীতে। শনিবার। ছবি: অমিত মোহান্ত
ডেঙ্গির আতঙ্ক ছড়াচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুরেও। ইতিমধ্যে বালুরঘাট হাসপাতালে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে ৩ জন ভর্তি হয়েছেন। জ্বর নিয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও ৫২ জন। বালুরঘাট শহরের খাদিমপুর স্কুলপাড়ার বাসিন্দা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত স্কুলশিক্ষক সন্দীপ সরকারকে বৃহস্পতিবার বালুরঘাট হাসপাতাল থেকে রেফার করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ত্রিমোহিনীর ডাবরা এলাকার বাসিন্দা রতন মণ্ডল এবং ফজলু মণ্ডল ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। ডেঙ্গিতে আক্রান্ত শহরের স্টেট বাসস্ট্যান্ড পাড়া এলাকার জয়দেব হাঁসদাকে বালুরঘাট হাসপাতালে থেকে রেফার করা হয়েছে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকুমার দে এ দিন বলেন, ‘‘বালুরঘাট হাসপাতালে ডেঙ্গির চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে প্লেটলেট দেওয়ার ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে।’’ কিন্তু গত দু’দিনে ওই হাসপাতাল থেকে ডেঙ্গি আক্রান্তদের পরপর রেফারের ঘটনায় সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থার অভাব রয়েছে বলে রোগীর আত্মীয়রা অভিযোগ করেছেন।
দু’দিন আগে শহরের রঘুনাথপুর ট্যাঙ্ক মোড় এলাকার একাদশ শ্রেণির ছাত্রী প্রিয়াঙ্কা দাস ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। আত্মীদের অভিযোগ বালুরঘাট হাসপাতালে প্লেটলেট দেওয়ার ব্যবস্থা নেই। মালদহে ওই ব্যবস্থা থাকলেও সঠিক পরিষেবা মেলেনি বলে কিশোরী প্রিয়াঙ্কার অবস্থার দ্রুত অবনতি হয়। এ বছর জেলায় ডেঙ্গিতে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা অন্তত ৬।
বালুরঘাট পুরসভার প্রয়াত চেয়ারম্যান চয়নিকা লাহার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড ও সংলগ্ন এলাকাতেও ডেঙ্গির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আক্রান্ত স্কুলশিক্ষক সন্দীপবাবু এই ওয়ার্ডেরই বাসিন্দা। উপনির্বাচন না হওয়ায় গত প্রায় দু’বছর ধরে কোনও জনপ্রতিনিধি না থাকায় ওই ওয়ার্ডটি অবহেলিত বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। এলাকা ময়লা সাফাই হয় না। দায়িত্বপ্রাপ্ত পাশের ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ব্রতময় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। তাঁরা বলেন, ‘‘ওয়ার্ড জুড়ে রাস্তার ধারে নোংরা আবর্জনার স্তূপ। নিত্য আনাগোনা করছে শুয়োরের পাল। ডেঙ্গির পাশাপাশি বালুরঘাটে গত মাসে এনসেফেলাইটিসে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তারপরেও পুর কর্তৃপক্ষের তরফে কোনও হেলদোল নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy