বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।ফাইল চিত্র।
সোমবার রাতে কোচবিহারে পৌছন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। মঙ্গলবার জেলা পার্টি অফিসে সাংগঠনিক বৈঠক করেন তিনি। এ দিন তিনি জানান, “তৃণমূলের সন্ত্রাসে দলীয় সংগঠন অবিন্যস্ত হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা থেকে সংগঠনকে সাজিয়ে তুলতেই বৈঠক।”
তিনি জানান, এক কোটির বেশি অনুপ্রবেশকারী রয়েছেন বাংলায়, ক্ষমতায় এলে এনআরসি চালুর দাবিতে আদালতে যাবে বিজেপি। মঙ্গলবার কোচবিহারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে ওই দাবি করলেন দিলীপ ঘোষ।
তৃণমূলের বিধায়ক ও রাজ্য সাধারণ সম্পাদক উদয়ন গুহ বলেন, “বাংলার চারদিকে নব্বই শতাংশ জায়গা কাঁটাতারে ঘেরা। সেখানে বিএসএফের পাহারা রয়েছে। তার পরে কোনও অনুপ্রবেশ হলে জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারকে। আর বাংলায় যে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ বাস করেন, তাঁরা আমি বা দিলীপবাবু কারও থেকে কম ভারতীয় নন।” মঙ্গলবার দলীয় কর্মসূচিতে কোচবিহারে এসে মুখ্যমন্ত্রীর পাহাড় সফর নিয়ে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপি সভাপতি বলেন, “পাহাড় ও জঙ্গলমহল নিয়ে দিদিমণি খুব ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। জঙ্গলমহলে যাচ্ছেন বিজেপি ভাঙাতে। খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন। এবারে পাহড়ে গিয়েছেন, পাহাড়ে যাঁকে নেতা বানানোর চেষ্টা করছেন সে কিছুতেই নেতা হতে পাচ্ছেন না।”
বিজেপি সভাপতি জানান, পাহাড়ে দলের সংগঠন মজবুত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। আজ শিলিগুড়িতে দার্জিলিং জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “তৃণমূলকে দার্জিলিং নয়, বাংলা থেকেই তুলে দেব।”
তৃণমূল অবশ্য দিলীপবাবুর ওই বক্তব্যকে হতাশা ছাড়া আর কিছু বলে মানতে নারাজ। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিজেপি পরিকল্পিত ভাবে নানা জায়গায় অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। পাহাড়, জঙ্গলমহল থেকে রাজ্যের সব জায়গায় তাঁদের সেই চরিত্র ফুটে উঠেছে। গোটা দেশেই এক ভয়াবহ অবস্থা। মানুষ এখন শুধু ভোটের জন্য অপেক্ষা করছে। বিজেপির হাতে আর সময় নেই।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy