পার্থপ্রতিম রায়-সহ তৃণমূলের প্রতিনিধি দল। নিজস্ব চিত্র
বিএসএফের ডিআইজি-র সঙ্গে বুধবার বিজেপি নেতাদের বৈঠক নিয়ে বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের তরফে একটি প্রতিনিধি দল আজ কমিশনে যায়। এই বৈঠককে ‘নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চক্রান্ত এবং অভিষন্ধিমূলক’ বলে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে তৃণমূল। যদিও পদ্মশিবিরের মত, তৃণমূল অকারণে ‘বালকসুলভ আচরণ’ করছে।
বুধবার কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের গোপালপুর কাঁকড়িবাড়ি এলাকায় অবস্থিত বিএসএফ শিবিরে যান বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিজেপি-র কোচবিহার জেলার সভাপতি মালতী রাভা রায়-সহ অনেকে। এই সাক্ষাৎ এবং বৈঠক নিয়ে প্রথম থেকেই প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল। জোড়াফুল শিবিরের মতে, এই বৈঠক ‘নিতান্তই সৌজন্যমূলক নয়।’ ওই বৈঠক ‘বিজেপি-র উদ্দেশ্যপ্রণোদিত এবং এর পিছনে নিশ্চয়ই কোনও বড় রকমের দুরভিসন্ধি আছে ও নির্বাচনকে প্রভাবিত করার উদ্দেশ্য আছে’ বলেও কমিশনকে জানিয়েছেন দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহের নির্বাচনী এজেন্ট পার্থপ্রতিম রায়।
পার্থপ্রতিম বলছেন, ‘‘দিলীপ ঘোষ সংসদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক সংক্রান্ত স্থায়ী। গত বিধানসভা নির্বাচনে শীতলকুচিতে সিআইএসএফের গুলিতে ৪ জন ভোটারের মৃত্যু হয়। আমরা সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পাই। আমরা সব কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সম্মান করি। কিন্তু বিজেপি নেতারা কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের ন্যক্কারজনক ভাবে ব্যবহার করতে চাইছে। সেটা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর।’’ এ বার পঞ্জাব, অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকায় বিএসএফ গ্রেফতার, তল্লাশি এবং বাজেয়াপ্ত করার কাজ করতে পারবে। সম্প্রতি এই নির্দেশিকা দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। সে কথা তুলে ধরে পার্থপ্রতিমের বক্তব্য, ‘‘এই প্রেক্ষাপটে উপনির্বাচনের আগে বিজেপি-র স্থানীয় নেতৃত্ব কোনও পরিকল্পনা করে বা বিএসএফকে নির্দেশ দিয়ে নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে কি না সে বিষয়ে আমরা ভীষণ ভাবে উদ্বিগ্ন।’’
এ নিয়ে নাটাবাড়ির বিধায়ক মিহির গোস্বামী অবশ্য বলছেন, ‘‘গোটা পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনি বিধি জারি নেই। নির্বাচন বিধি জারি রয়েছে দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে। দিনহাটা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে আলিপুরদুয়ার রোডে বিএসএফ-এর ডিআইজি-র দফতর রয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী দিলীপ ঘোষ ডিআইজি-র সঙ্গে দেখা করেন। তৃণমূলের যে নেতারা নির্বাচন বিধি, নির্বাচনী বিধি বলে লাফালাফি করছেন তাঁরা অজ্ঞ, অনভিজ্ঞ এবং বালক সুলভ আচরণ করছেন। প্রথমে তাঁদের আইন জেনে নেওয়া উচিত।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy