E-Paper

ফের মাদকের ‘রমরমা’ কেন কালিয়াচকে?

পুলিশের দাবি, ভাস্কর জ্বরে আক্রান্ত থাকায় হেফাজতে চাওয়া হয়নি। কালিয়াচকে লাগাতার ব্রাউন সুগার উদ্ধারের ঘটনায় জেলায় মাদকের কারবার ফের সক্রিয় বলে অনুমান রাজ্যের গোয়েন্দা কর্তাদের।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৮:১৭
—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

ফের মাদক ব্রাউন সুগার উদ্ধার হল মালদহের কালিয়াচকে। বুধবার রাতে কালিয়াচকের শাহবাজপুর গ্রামে হানা দিয়ে ব্রাউন সুগার-সহ এক কারবারিকে সিআইডি গ্রেফতার করেছে। সাত দিনের ব্যবধানে কালিয়াচকে সিআইডির অভিযানে উদ্ধার হয় পৌনে চার কেজি ব্রাউন সুগার। বৃহস্পতিবার ধৃত ভাস্কর মণ্ডলকে সিআইডি পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ দিনই পুলিশ ধৃতকে মালদহ আদালতে পেশ করলে বিচারক জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিশের দাবি, ভাস্কর জ্বরে আক্রান্ত থাকায় হেফাজতে চাওয়া হয়নি। কালিয়াচকে লাগাতার ব্রাউন সুগার উদ্ধারের ঘটনায় জেলায় মাদকের কারবার ফের সক্রিয় বলে অনুমান রাজ্যের গোয়েন্দা কর্তাদের।

সিআইডির দাবি, ধৃত ভাস্কর মণ্ডল কালিয়াচকের শাহবাজপুরের ভগবানপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে ভিন্ রাজ্যে শ্রমিকের কাজ করে। সম্প্রতি সে মাদকাসক্ত হয়ে পড়েছিল বলে দাবি সিআইডির কর্তাদের। তাঁদের দাবি, মাদক সেবনের পাশাপাশি, সে কারবারও চালাত। বুধবার রাতে তার বাড়ি থেকে প্রায় এক কেজি ব্রাউন সুগার মেলে, যার বাজার মূল্য প্রায় ৪০ লক্ষ টাকা। ব্রাউন সুগার স্থানীয় ভাবে তৈরি হচ্ছে বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান সিআইডির। সিআইডির মালদহের সুপার অনীশ সরকার বলেন, “কালিয়াচকে পর পর কয়েকটি ব্রাউন সুগার উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। সে ঘটনাগুলি একে অপরের সঙ্গে কোনও ভাবে জড়িয়ে আছে কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মাদকের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযানও চালানো হচ্ছে।”

কালিয়াচক, বৈষ্ণবনগরে এক সময় দেদার পোস্ত চাষ হত। পোস্তর আঠা মাদকের কাঁচামাল হিসেবে ভিন্ রাজ্যে রফতানি হত। এখন ভিন্ রাজ্য থেকে মাদকের কাঁচামাল জেলায় আসছে, দাবি পুলিশ ও সিআইডির। তাদের দাবি, মাদকের কাঁচামাল উদ্ধারে মণিপুর-যোগ মিলেছে। এ ছাড়া, কালিয়াচকে মাদক তৈরিও হচ্ছে বলে অভিযোগ। গত ৭ সেপ্টেম্বর কালিয়াচক বাজার থেকে ৮৬০ গ্রাম ব্রাউন সুগার-সহ এক কারবারি গ্রেফতার হয়েছিল। তার চার দিন পরে, আরও এক কেজি ৭০০ গ্রাম ব্রাউন সুগার মিলেছে। কারবারিদের জেরা করে চক্রের পান্ডাদের খোঁজ চালানো হচ্ছে বলে জানান সিআইডি কর্তারা।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

kaliachak

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy