Advertisement
২৭ এপ্রিল ২০২৪
একুশের দলবদল দুই শিবিরেই

সভা ডেকে দলত্যাগ

নীলাঞ্জনের এই সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছে জেলা তৃণমূল। তাদের নেতা-কর্মীরা বেশির ভাগই এ দিন একুশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতা গিয়েছেন।

খোশমেজাজ: গুলমোহর ভবনের সভায় রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে নীলাঞ্জন রায়। নিজস্ব চিত্র

খোশমেজাজ: গুলমোহর ভবনের সভায় রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়র সঙ্গে নীলাঞ্জন রায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বালুরঘাট শেষ আপডেট: ২২ জুলাই ২০১৮ ০৩:০৫
Share: Save:

বিজেপিতে যোগ দিতে চান। তাই নিজেই সভা ডেকেছিলেন। সেখানে হাজির ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় কমিটির নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। শনিবার বালুরঘাটের গুলমোহর ভবনের সেই সভায় আনুষ্ঠানিক ভাবে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায়। সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুল করিম চৌধুরীও। তিনি ঘোষণা করেন, তাঁর দল বাংলা বিকাশবাদী কংগ্রেস এখন থেকে এনডিএ-র শরিক।

কেন বিজয়বর্গীয়ের সভা খোলা মাঠে হল না, এই প্রশ্নের জবাবে নীলাঞ্জন বলেন, ‘‘এটা আমার নিজস্ব অনুষ্ঠান। তাই হলেই সভা করেছি।’’ বিজয়বর্গীও সভার শুরুতেই বলেন, ‘‘উসকি (নীলাঞ্জন) বারাতি মে হম বারাত হ্যায়!’’ নীলাঞ্জনের এই সভা নিয়ে কটাক্ষ করেছে জেলা তৃণমূল। তাদের নেতা-কর্মীরা বেশির ভাগই এ দিন একুশের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে কলকাতা গিয়েছেন। তাঁরা কেউ কেউ বলেন, ‘‘এত দিন দেখেছি, কেউ কোনও দলে যোগ দিলে সেই দলের অনুষ্ঠান মঞ্চে যান। নীলাঞ্জনবাবুই প্রথম যিনি নিজেই সভা ডেকে অন্য দলে যোগ দিলেন!’’

সভা হয়েছে গুলমোহর হলে। সেখানে শ’চারেক লোক বসতে পারে। যদিও নীলাঞ্জনের দাবি, এ দিন জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েক হাজার কংগ্রেস সমর্থকের আসার কথা ছিল। কিন্তু তাদের পথেই আটকে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, কেউ কাউকে আটকায়নি। ওঁর সঙ্গে কেউ নেই। তাই উনি এই সব গালগল্প শোনাচ্ছেন।

এ দিনের অনুষ্ঠানে সিপিএমের জেলা নেতা নীরদ দাস, বেশ কয়েক জন বাম কর্মীও বিজেপিতে যোগ দেন। সভায় বিজয়বর্গীয় পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিরুদ্ধে অপশাসনের অভিযোগ তুলে বলেন, রাজ্য জুড়ে সিন্ডিকেট সরকার চলছে। তাঁর দাবি, ‘‘কর্মহীন বেকার যুবক। মানুষ মমতার অপশাসন থেকে মুক্তি চাইছেন। বিজেপিকে চাইছেন রাজ্যের মানুষ।’’ একই সঙ্গে তিনি পুলিশকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেন, ‘‘লোকসভা ভোটে আমরা আবার ফিরছি। তার পরে বিধানসভা দখল করব। তাই সাবধানে থাকবেন।’’ এ দিন একুশের সভায় সরকারি ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে লোক ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।

তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, ‘‘একুশের সভা থেকে মোদী বিদায়ের ডাক দিয়েছেন মমতা। ১৯ জানুয়ারি সব বিরোধী দলকে এক হতে আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিগেডে। বিজয়বর্গীয়রা আগে লোকসভায় ফিরুন, তার পরে বিধানসভা ভোটের কথা ভাববেন।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Chairman BJP TMC Congresss
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE