E-Paper

বিশ্ববিদ্যালয়ে শূন্য পদে নিয়োগের দাবি ডিএসও-র

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট অফিসার না থাকায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে কোনও খরচ ছাড়তে পারছেন না ফিনান্স অফিসার।

সৌমিত্র কুন্ডু

শেষ আপডেট: ০৫ মার্চ ২০২৫ ০৫:১৪
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল এআইডিএসও' র সদস্যরা।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে বিক্ষোভে সামিল এআইডিএসও' র সদস্যরা। ছবি: স্বরূপ সরকার।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই দশ মাসের বেশি। পরীক্ষা বিভাগের নিয়ামকও নেই। কলেজগুলির পরীক্ষার ফল প্রকাশ তার জেরে ‘ঝুলে’ রয়েছে। এ সব সমস্যা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী সংগঠন, শিক্ষক সংগঠনের তরফেও আন্দোলনে নামার কথা ভাবা হচ্ছে। এই পরিস্থিতি দ্রুত উপাচার্য, পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক-সহ শূন্যপদগুলিতে আধিকারিক নিয়োগ, কলেজগুলির বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের দাবিতে মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযান করল ডিএসও।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট অফিসার না থাকায় তিন মাসের বেশি সময় ধরে কোনও খরচ ছাড়তে পারছেন না ফিনান্স অফিসার। তাতে বিভিন্ন বিভাগের সরঞ্জাম কেনা থেকে সেমিনার— বিভিন্ন কাজ আটকে সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ শিক্ষা দফতরের কাছে পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক, অডিট অফিসার, ডিনের মতো পদে কাউকে দায়িত্ব দিতে আর্জি জানানো হয়েছে। অস্থায়ী রেজিস্ট্রার নুপূর দাস বলেন, ‘‘উচ্চ শিক্ষা দফতরের সঙ্গে সমস্যাগুলি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে।’’

এ দিন আন্দোলনকারীদের অন্যান্য দাবিগুলির মধ্যে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরের পড়ুয়াদের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরা হয়। তার মধ্যে নতুন শিক্ষানীতি অনুযায়ী যে পদ্ধতি চালু হয়েছে, তাতে অনেক ক্ষেত্রেই পড়ুয়াদের কাছে পাঠ্য়ক্রম স্পষ্ট হতে না হতেই কলেজগুলিতে পরীক্ষায় বসতে হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলা হয়। সংগঠনের তরফে অপূর্ব মণ্ডল জানান, এ সবের কারণে ফলও খারাপ হচ্ছে। রাজ্যের শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের মদতে হুমকি-প্রথাও চলছে বলে অভিযোগ করা হয়। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র সংসদের ভোট নেই। তাই কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে দ্রুত ছাত্র সংসদের ভোট করানোর দাবিও তোলা হয়েছে। টিএমসিপি অবশ্য তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

মঙ্গলবার ডিএসও সংগঠনের তরফে শিবমন্দির মেডিক্যাল মোড় থেকে মিছিল করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেটে পৌঁছন বিক্ষোভকারীরা। পুলিশ তাঁদের আটকে দেয়। স্মারকলিপি দিতে আগাম সময় কর্তৃপক্ষের কছে থেকে নেওয়া রয়েছে বলে জানিয়ে তাঁদের কাউকে গেটে এসে স্মারকলিপি নেওয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়। সেই মতো বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের আধিকারিক বরুণ রায় এসে স্মারকলিপি নেন। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে তা জানানো হয়েছে।’’ রেজিস্ট্রার জানান, স্মারকলিপি পেয়েছেন। সমস্যাগুলি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

dso Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy