এনজেপির বুকিং কাউন্টার থেকে বন্দে ভারতের টিকিট কাটলে পরের দিন ৩০০-৫০০ থাকত ওয়েটিং তালিকা। তা কমে দাঁড়িয়েছে চল্লিশ-পঞ্চাশে। দু’তিন দিন অপেক্ষা করলে আসন মিলেও যাচ্ছে ওই প্রিমিয়াম ট্রেনেও। কেবল দিল্লি বা উত্তর-পশ্চিম ভারত নয়, রাজ্যের মধ্যেও একাধিক জায়গায় প্রয়োজন ছাড়া অনেকেই যাচ্ছেন না বলেই খবর রেল সূত্রের। আপাতত যুদ্ধ-বিরতি হলেও এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরও কয়েক দিন সময় লাগতে পারে বলে মনে করছেন রেল আধিকারিকেরা।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন স্টেশন থেকেই এই বুকিং কমেছে বলে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল এবং পূর্ব রেল সূত্রের খবর। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের বাণিজ্য বিভাগের বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তৎকাল টিকিটেরও বাজার পড়েছে। তিনি বলেন, ‘‘তৎকাল টিকিট কাটার জন্য এনজেপির বুকিং কাউন্টারে ৮ থেকে ১০ জনের ভিড় কমপক্ষে থাকত। তা কমে দাড়িয়েছে দু'জন কি তিন জনে।’’ ফলে টিকিট বাতিল হওয়ার জন্য গত এক সপ্তাহে বেশ কিছু আসন খালি নিয়েও যাত্রা করেছে বিভিন্ন ট্রেন। শিলিগুড়িতে রেলের সিটি বুকিং অফিসেও রোজ টিকিট বাতিলের লাইন পড়ছে বলে জানান আধিকারিকেরা। দিল্লি এবং পশ্চিম ভারতের দিকে ট্রেনে বুকিং বাতিলের হার বেশি বলে ইঙ্গিত দেন আধিকারিকরা। রেল আধিকারিকদের দাবি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আর কিছু দিন সময় লাগতে পারে।
কেবল শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি নয়, উত্তরবঙ্গের একাধিক স্টেশন থেকেই এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছেন অনেকেই। বালুরঘাটের এক পর্যটন ব্যবসায়ী সৌগত ঘোষ বলেন, "বারাণসী, দিল্লির দিকে যেতে তো যাত্রীরা ভয় পাচ্ছেনই, এপ্রিলে বালুরঘাট থেকে পুরী যাওয়ার অন্তত ১৬টি বুকিং বাতিল হয়েছে গত কয়েক দিনের মধ্যে। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের জন্যই এটা হয়েছে বলে মনে করছি আমরা।’’ গঙ্গারামপুর, হিলির মত এলাকার বাসিন্দারাও থেকেও মন্দারমনি এবং দীঘার দিকের কিছু টিকিট বাতিল করেছেন বলে খবর।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)