—নিজস্ব চিত্র
অদম্য জেদ বুকে। পরীক্ষা তিনি দেবেনই। তাই ৮০ শতাংশ প্রতিবন্ধকতা নিয়েও হামাগুড়ি দিয়ে তিনি এলেন পরীক্ষা কেন্দ্রে। সবংয়ের নারায়ণচন্দ্র জানা যেন অসম্ভবকে সম্ভব করার এক আদর্শ উদাহরণ।
বয়স ৪৩ বছর। ছোট থেকেই পা দুটি বিকল। হাতের উপর ভর দিয়ে চলাফেরা করতে হয়। বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবংয়ের মহাড় অঞ্চলের বরদা গ্রামে। বাড়িতে বাবা-মা ও তিন ভাইয়ের অভাবের সংসার। উপার্জন বলতে কৃষিকাজ। পরিবারে তিন ভাইয়ের মধ্যে বড় নারায়ণ।
বিশেষ ভাবে সক্ষম হলেও আত্মনির্ভর হওয়ায় আশায় ২০০২ সালে প্রথম প্রাইমারি টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন। ৫ বছর নানা জটিলতা কাটিয়ে এ বার তৃতীয়বাবের জন্য পরীক্ষায় বসার সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তাই প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও সেই সুযোগ হারাতে চাননি।
চন্দ্রকোনা পৌরসভার ১নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুরে কল্যাণশ্রী জ্ঞানদাদেবী বালিকা উচ্চবিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে তাঁর আসন পড়ে।সবং থেকে দীর্ঘপথ অতিক্রম করে ভাইপোকে সঙ্গে নিয়ে বাসে করে পৌঁছেছেন পরীক্ষা কেন্দ্রে।সেখানে মোট ৪০০ পরীক্ষার্থীর মধ্যে নারায়ণই ছিলেন একমাত্রবিশেষ ভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থী। পায়ের বদলে হাতের সাহায্য হামাগুড়ি দিয়ে একরাশ আশা নিয়ে রবিবার ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করেন তিনি। পরিবারের বড় ছেলে হিসাবে সংসারের হাল ধরতে চান নারায়ণ। পরীক্ষার পর এখন তারই প্রতীক্ষা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy