E-Paper

তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার, অভিযোগ খুনের

পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে দেন সাদেক। কিন্তু রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরে, রাতে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে পরিবারের সদস্যদের কে বা কারা ফোন করে বলে অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:০১
তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরে সেই বাঁশ বাগানে ভিড় গ্রামবাসীদের। বুধবার।

তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরে সেই বাঁশ বাগানে ভিড় গ্রামবাসীদের। বুধবার। —নিজস্ব চিত্র।

গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যের নিখোঁজ স্বামী তথা তৃণমূল কর্মীর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হল বুধবার। এ দিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে মালদহের পুখুরিয়ার চাতর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, নিহতে নাম সাদেক আলি (৪৮)। রাজনৈতিক কারণে স্বামীকে অপহরণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আনোয়ারা বিবি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এসডিপিও (চাঁচল) শুভেন্দু মণ্ডল বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। ঘটনার সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সাদেক আলি মিষ্টি ব্যবসায়ী ছিলেন। মঙ্গলবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন বলে পরিবারের দাবি। এ দিন দুপুরে বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরে গ্রামেরই এক বাঁশ বাগানে তাঁর রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। তাঁর মুখে এবং শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশ দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যালে পাঠিয়েছে।

পরিবারের দাবি, মঙ্গলবার রাত ৮টা নাগাদ দোকান বন্ধ করে দেন সাদেক। কিন্তু রাতে তিনি বাড়ি ফেরেননি। পরে, রাতে এক লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চেয়ে পরিবারের সদস্যদের কে বা কারা ফোন করে বলে অভিযোগ। এ দিন সকালেও আরও বেশি টাকা মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়, দাবি সাদেকের ছেলে আখতারুল আলির। তাঁর দাবি, “বাবাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করা হয়েছিল। আমরা টাকা দিতে রাজিও হয়েছিলাম। তার পরেও, বাবাকে খুন করা হল। আমরা চাই, পুলিশ অপরাধীদের খুঁজে বের করে শাস্তি দিক।”

রতুয়া ২ ব্লকের শ্রীপুর ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এ বার তৃণমূলের দখলে গিয়েছে। প্রধান পদ নিয়ে সেখানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনাও ঘটেছে বলে অভিযোগ। সাদেক আলির স্ত্রী আনোয়ারা বিবি প্রধান পদ নিয়ে বিরোধিতা করেন বলে অভিযোগ। আনোয়ারার দাবি, “পঞ্চায়েত ভোটে আমরা জেতার পর থেকেই স্বামীর শত্রুর সংখ্যা বেড়ে যায়। রাজনৈতিক কারণেই আমার স্বামীকে খুন করা হয়েছে।”

তৃণমূলের জেলা সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “দলের কর্মীর এ ভাবে মৃত্যুর ঘটনা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। রাজনৈতিক কারণে খুন কি না, তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। তবে খুনের ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কোনও ব্যাপার নেই।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

TMC

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy