রঙিন কাপড়, বেলুনে সাজানো রাস্তা। নজরকাড়া আলপনাও। প্রথম ‘তরাই হিমালয়ান ফেস্টিভ্যাল’-এ রবিবার সকাল থেকেই নাচগানে ও উচ্ছ্বাসে মাতলেন শিলিগুড়ি ও আশপাশের এলাকার বাসিন্দারা।
দার্জিলিং জেলা প্রশাসন, শিলিগুড়ি পুরনিগম ও শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠান হল। সেবক মোড় থেকে মহাত্মা গান্ধী মোড় পর্যন্ত রাস্তার একপাশে ‘হ্যাপি স্ট্রিট’ তৈরি করা হয়েছিল। বিকেলের পরে সেই রাস্তায় তিলধারণের জায়গা ছিল না। সন্ধ্যেয় কয়েক হাজার মানুষের ভিড় জমে। ভিড়ের হুড়োহুড়ির জেরে কয়েকটি স্টল বন্ধ করে দেওয়া হয়। জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল সকলকে অনুষ্ঠানে আসার আবেদন জানিয়েছিলেন। ছোটদের জন্য নানা ম্যাসকট, বহুরূপীরা ছিলেন। ছিল নানা প্রতিযোগিতা। দুপুর ১২টা থেকে শুরু অনুষ্ঠান চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসনের আধিকারিকদের পাশাপাশি মেয়র গৌতম দেব, জিটিএ-র চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপা, পুলিশ কমিশনার সি সুধাকর উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান দেখতে সকাল থেকেই ভিড় ছিল। কচিকাঁচাদের নিয়ে বাবা, মায়েরা ভিড় করেছিলেন। ভারত-পাকিস্তান ক্রিকেট ম্যাচ দেখানোর জন্য অনুষ্ঠানস্থলে এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয়েছিল। জেলাশাসক বলেন, ‘‘প্রথম বার এই অনুষ্ঠান করা হয়েছে। বিভিন্ন সংস্কৃতি তুলে ধরা হয়েছে। পর্যটনেও উন্নতি হবে।’’
কয়েক দিন ধরেই অনুষ্ঠানের জন্য সেবক মোড় থেকে মহাত্মা গান্ধী মোড় পর্যন্ত সাজানোর কাজ শুরু হয়েছিল। মেয়রের কথা, ‘‘প্রথম বার এই অনুষ্ঠান করা হয়েছে এক দিনের জন্য। আগামী দিনে আরও বেশি সময় ধরে এমন ধরনের অনুষ্ঠান করার ইচ্ছা রয়েছে।’’
এ দিকে অনুষ্ঠানের জন্য সকাল থেকেই সেবক মোড়-মহাত্মা গান্ধী মোড় পর্যন্ত রাস্তার এক পাশ বন্ধ ছিল। এর জেরে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হয় বলে অভিযোগ। গাড়িগুলিকে চার্চ রোড দিয়ে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কয়েক জন পর্যটককে ব্যাগ নিয়ে হেঁটে মহাত্মা গান্ধী মোড়ের দিকে যেতে হয়েছে। সকাল থেকেই ট্র্যাফিক পুলিশ আধিকারিকদের সেখানে দেখা যায়। যদিও রবিবার থাকায় খুব বেশি যানজট ছিল না।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)