Advertisement
১০ মে ২০২৪

৫টি বাস ভাঙচুর, মেখলিগঞ্জে সংঘর্ষ

পুলিশ সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলায় নিগমের পাঁচটি বাসে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মীরা। মেখলিগঞ্জে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়

এনবিএসটিসির বাসের কাচ ভাঙা হল। চালক হেলমেট পরে থাকায় রক্ষা পেলেন।

এনবিএসটিসির বাসের কাচ ভাঙা হল। চালক হেলমেট পরে থাকায় রক্ষা পেলেন।

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০৬:০০
Share: Save:

বন্‌ধ ঘিরে দিনভর উত্তেজনা বহাল থাকল কোচবিহারে। বুধবার সকাল থেকেই জেলা শহর থেকে শুরু করে সীমান্ত শহর মেখলিগঞ্জে বন্‌ধ নিয়ে গণ্ডগোল চলতে থাকে। পুলিশ সূত্রের খবর, কোচবিহার জেলায় নিগমের পাঁচটি বাসে ভাঙচুর চালায় বিজেপি কর্মীরা। মেখলিগঞ্জে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটাতে হয়। ওই ঘটনায় দু’পক্ষের ৩ জন জখম হন। সব মিলিয়ে পুলিশ ২৫২ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থককে গ্রেফতার করে।
মেখলিগঞ্জে থানার সামনেই তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। দু’পক্ষের ৩ জন জখম হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অন্তত দশ রাউন্ড কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায় পুলিশ। লাঠি চালায়। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।”
এ দিন সকাল থেকেই বন্‌ধের সমর্থনে মেখলিগঞ্জ শহরে পিকেটিং করে বিজেপি। মিছিল বের করে তৃণমূলও। মেখলিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের কর্মীদের বচসা শুরু হয়। এরপর মেখলিগঞ্জ থানার পুলিশ প্রায় ২০০ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সেই সময় একটি মিছিল বের করে তৃণমূল। মিছিলটি থানার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ঢিল ছোড়াছুড়ি শুরু হয় বলে অভিযোগ। থানা চত্বরে পুলিশ কর্মীদের সামনেই দু’পক্ষের মধ্যে লড়াই শুরু হয়ে যায়।
বিজেপি কর্মী দিলীপ রায়কে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। আর এক কর্মী আজিজার রহমান মেখলিগঞ্জে চিকিৎসাধীন। বিজেপির দক্ষিণ মন্ডলের সভাপতি দধিরাম রায় অভিযোগ করেন, “তৃণমূলের মিছিলে পরেশ অধিকারী ও লক্ষ্মীকান্ত সরকার নেতৃত্বে দিয়েছেন। পুরো বিষয় নিয়ে পুলিশে অভিযোগ জানাব।”
পরেশবাবু বলেন, “গন্ডগোল পাকানোর উদ্দেশ্য ছিল বিজেপিরই।’’ এ ছাড়াও চ্যাংরাবান্ধায় ও মেখলিগঞ্জে বিজেপি পার্টি অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ উঠে শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও তৃণমূল তা অস্বীকার করেছে।
কোচবিহারে বেসরকারি বাস রাস্তায় নামেনি। শহরের অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ ছিল। জেলাশাসক কৌশিক সাহা জানান, এ দিন সরকারি অফিসে হাজিরা ছিল ৯৯.৮৩ শতাংশ। কোচবিহারের পুলিশ সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, “সমস্ত জায়গায় পুলিশ ছিল। পরিস্থিতি মতো সব জায়গায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
কোচবিহার শহর ও লাগোয়া এলাকায় তিনটি বাস ভাঙচুরের অভিযোগও রয়েছে। বেলা গড়াতে বেশ কিছু দোকানপাট খোলে। বন্‌ধের বিপক্ষে মিছিল করে তৃণমূল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC Vandalism
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE