জলপ্লাবিত হাতিনালা।
রাতভর প্রবল বৃষ্টির জেরে বন্যা পরিস্থিতি উত্তরবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে। শুক্রবার সকালেও তা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। আর তার জেরে জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে বিন্নাগুড়ি-সহ আশাপাশের বিভিন্ন অঞ্চল।
বৃহস্পকতিবার সকালে হাতিনালার জল ঢুকে পরে বানরহাট ব্লকের বিন্নাগুড়ি এসএম কলোনি এবং নেতাজিপল্লিতে। হাতিনালার জল ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে পাঁচটি চা-বাগান। স্থানীয় সূত্রের খবর, রাত ২টো থেকে জল গ্রামে ঢুকতে শুরু করে। আতঙ্কে রাস্তায় আশ্রয় নেন বহু মানুষ। হলদিবাড়ি-বিন্নাগুড়ি রাজ্য সড়কের কিছু অংশেও জল উঠে আসে।
ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ভাবে এখনও বৃষ্টি চলছে। তবে বিন্নাগুড়ি এলাকায় সকাল ৯টার পর বৃষ্টি কমেছে। ভুটান পাহাড়ের জল হাতিনালা দিয়ে বইতে থাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েকটি বাড়ি। হাতিনালার জল বাড়ায় ক্ষতি হয়েছে চা-বাগানেরও। বড় বড় শেড ট্রি অর্থাৎ ছায়া প্রদানকারী গাছগুলির একাংশ উপড়ে পড়েছে। এমনকি, চা-বাগানেও শুরু হয়েছে ভাঙ্গন। জলের স্রোতে ভেসে গিয়েছে কয়েকশো চা গাছ।
এখনও ডুয়ার্সের বিভিন্ন এলাকায় কালো মেঘ জমে রয়েছে। ফের বৃষ্টি শুরু হলে অবস্থার অবনতি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। জলমগ্ন হয়ে পড়া এলাকায় শুক্রবার বেলা পর্যন্ত প্রশাসনের কোনও আধিকারিক বা জনপ্রতিনিধির দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশের।
অন্য দিকে, ভুটান পাহাড় এবং কালিম্পং পাহাড়ে বৃষ্টির জেরে বৃহস্পতিবার রাত থেকেই জলস্ফীতি দেখা দেয় এলাকার একাধিক নদীতে। রাত থেকেই জল বাড়তে শুরু করে চেল, ঘিস, রন্তি নদীতে। অন্য দিকে ধূপগুড়ির ডুডুয়া, গিলান্ডি, নদীতেও জল বাড়তে শুরু করেছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, আগামী শনিবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টি হবে ডুয়ার্সে। ফলে আরও বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy