দক্ষিণ ভারতে সাম্প্রতিক সময়ে ‘বার্ড ফ্লু’ (এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা) সংক্রমণ উদ্বেগজনক ভাবে বেড়েছে। তার জেরে কোনও ঝুঁকি নিচ্ছে না রাজ্য বন দফতর। বাড়তি সতর্কতা হিসেবে দার্জিলিং এবং বেঙ্গল সাফারি পার্কে সব পাখির টিকাকরণ শুরু হয়েছে। বন দফতর সূত্রে খবর, ওই দুটি চিড়িয়াখানায় এখনও পর্যন্ত কোনও সংক্রমণের নজির নেই। তবে সাবধানতা নেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ–পশ্চিম ভারতে ছড়াচ্ছে মুরগির সংক্রমণ। অন্ধ্রপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে ছড়িয়েছে ‘বার্ড ফ্লু’। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের চিড়িয়াখানাগুলিতেও সর্তকতা জারি করা হয়েছে। বাদ যায়নি বেঙ্গল সাফারি পার্ক এবং দার্জিলিং চিড়িয়াখানা। দু’টি চিড়িয়াখানায় ৩৬টি প্রজাতির অন্তত ২৫০টি পাখিকে টিকা দেওয়ার কাজ শুরু করা হয়েছে বলে বন দফতর সূত্রে খবর। বেঙ্গল সাফারি পার্কের অধিকর্তা ই বিজয় কুমার বলেন, ‘‘আমাদের এখানে কোনও পাখির মধ্যে সংক্রমণ ছড়ায়নি। তবে টিকাকরণ এবং প্রতিষেধক খাওয়ানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।’’
বন দফতর সূত্রে খবর, আপাতত দু’টি চিড়িয়াখানায় মুরগির মাংস নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খাদ্যতালিকায় শূকর, ভেড়া ও ছাগলের মাংস যুক্ত করা হয়েছে। দু’টি চিড়িয়াখানা মিলিয়ে দিনে অন্তত আড়াই কুইন্টাল মুরগির মাংস প্রয়োজন হত। দার্জিলিং চিড়িয়াখানাতেও রয়েছে বেশ কিছু প্রজাতির পাখি। সেগুলিকেও কড়া নজরদারিতে রাখা হয়েছে। দু’টি চিড়িয়াখানায় ময়ূর ছাড়া মূলত বিদেশি পাখিই বেশি রয়েছে।
‘বার্ড ফ্লু’ সাধারণত সংক্রমিত পাখি, সেগুলির বিষ্ঠা বা সংক্রমিত দেহ থেকে সরাসরি সংস্পর্শের মাধ্যমে মানুষের দেহেও ছড়াতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তার জেরে গলাব্যথা, প্রচণ্ড জ্বর, পেশিতে ব্যথা, কাশি এবং শ্বাসকষ্টের উপসর্গ থাকে। খুব বাড়াবাড়ি হলে নিউমোনিয়া বা শ্বাসযন্ত্র বিকল পর্যন্ত হতে পারে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)