Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

কাটমানি দুর্নীতি, এ বার গ্রেফতার সরকারি কর্মী

শুক্রবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন নির্বাহী সহায়ক প্রমোদকুমার সরকারকে। তিনি মানিকচকের মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মরত।

ধৃত প্রমোদকুমার সরকার।

ধৃত প্রমোদকুমার সরকার।

নিজস্ব সংবাদদাতা
রতুয়া শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৯ ০৩:৪০
Share: Save:

মুখ্যমন্ত্রী কাটমানি নিয়ে সরব হওয়ার পরদিনই কেন্দ্রের এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান। তার দু’দিন বাদে একই মামলায় গ্রেফতার হলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই এক সরকারি কর্মী।

শুক্রবার রাতে পুলিশ গ্রেফতার করে মালদহের রতুয়া-১ ব্লকের মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন নির্বাহী সহায়ক প্রমোদকুমার সরকারকে। তিনি মানিকচকের মিরদাদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে কর্মরত। ইংরেজবাজারের অরবিন্দ পার্কের ভাড়াবাড়ি থেকে তাঁকে ধরা হয়। ২০১৭ সালে শৌচালয় তৈরি নিয়ে ওই পঞ্চায়েতে কোটি টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ ওঠে। সেই ঘটনাতেই পরপর গ্রেফতার হলেন এই দু’জন। দু’দিন আগে গ্রেফতারের পর ধৃত পঞ্চায়েত প্রধান সুকেশ যাদব দাবি করেছিলেন, একা প্রধানের পক্ষে পঞ্চায়েতের সব নথিপত্র সামলানো সম্ভব নয়। এ দিন ধৃত সরকারি কর্মীও আদালতে যাওয়ার পথে দাবি করেছেন, যা হয়েছে তিনি একা করেননি। ওই ঘটনায় তদন্তে যে আরও কয়েকজন তাদের নজরে রয়েছে তা জানিয়েছে পুলিশও। ফলে দু’জনের গ্রেফতারের পর প্রশ্ন উঠেছে, এরপর কে। যার জেরে আতঙ্কিত পঞ্চায়েত কর্তাদের পাশাপাশি সরকারি কর্মীদের একাংশ। তবে প্রশাসন পদক্ষেপ করায় খুশি এলাকাবাসী।

এদিকে, এ দিন ধৃতকে চাঁচল মহকুমা আদালতে তোলা হলে তাঁকে সাতদিনের জন্য নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। ধৃত প্রাক্তন প্রধানও পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন। তাঁদের দু’জনকে এবার মুখোমুখি বসিয়ে ওই ঘটনায় জড়িত বাকিদের নাম জানার চেষ্টা করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। চাঁচলের এসডিপিও সজলকান্তি বিশ্বাস বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের কেউ পার পাবেন না।’’

সূত্রের খবর, ২০১৭ সালে মহানন্দটোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে এমজিএনআরইজিএ প্রকল্পে ২৬০০ শৌচাগার তৈরির জন্য ১ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু তার মধ্যে দু’হাজার শৌচাগার তৈরি না করেই টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই প্রশাসনের তরফে রতুয়া থানায় অভিযোগ জানানো হয়। প্রথমে কংগ্রেসের অধীন ওই বোর্ডের প্রধান ছিলেন সুকেশ। অভিযোগের পরেই সুকেশ সদলবলে শাসকদলে যোগ দেওয়ায় বোর্ড তৃণমূলের দখলে চলে আসে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে দল তাকে প্রার্থী করলেও হেরে যান। তারপর দলের নেতাদের কাটমানি নিয়ে সম্প্রতি সরব হন মুখ্যমন্ত্রী।

সোমবার মালদহে এসে দুর্নীতিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ইঙ্গিত দেন জেলার পর্যবেক্ষক ও ক্রেতা সুরক্ষামন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। পরদিনই গ্রেফতার হন সুকেশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Corruption Government Employee Arrest
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE