সমাবর্তন অনুষ্ঠানে উপাচার্যের সঙ্গে রাজ্যপাল। — হিমাংশুরঞ্জন দেব
কৃষকদের সঙ্গে চিন্তাভাবনা বিনিময়ের পরামর্শ দিলেন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। সোমবার কোচবিহারের পুন্ডিবাড়িতে উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের হলঘরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানেই ওই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। রাজ্যপাল তথা উত্তরবঙ্গ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বলেন, “একসঙ্গে শিক্ষা প্রদান, গবেষণা ও কৃষকদের সঙ্গে ভাব বিনিময়ে জোর দিতে হবে।” সেইসঙ্গে আগামী দিনে কৃষির উন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও বলেন। রাজ্যপাল বলেন, ১৬ বছর আগে বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছিল। এই এলাকায় কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অপরিসীম। জাতীয় অর্থনীতিতে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।’’
রাজ্যের উত্তর অংশে বন্যা, প্রবল বর্ষণ, নদীর জলধারণ ক্ষমতা, ভূমিক্ষয়ের মত সমস্যার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তিনি। তবে ওই সব সমস্যার মধ্যেও কৃষি উন্নয়নে রাজ্য সরকার ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব পালন করছে সেকথাও জানিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, “পরিকল্পনামত চললে আগামী দিনে এই বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠতে পারে।” সমাবর্তন অনুষ্ঠানে যারা সম্মানিত হলেন তারা ভবিষ্যতে কৃষির উন্নয়নে নিজের সেরাটা নিংড়ে দেবেন বলে আশাপ্রকাশ করেছেন রাজ্যপাল।
অনুষ্ঠানে উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণ বর্মন, ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের ডিরেক্টর জেনারেল ত্রিলোচন মহাপাত্র-সহ বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো উন্নয়নে দফতর থেকে আর্থিক বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।”
ভারতীয় কৃষি অনুসন্ধান পরিষদের প্রাক্তন ডিরেক্টর জেনারেল বীরেন্দ্র লাল চোপড়া ও অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অমরনাথ মুখোপাধ্যায় কে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়। এছাড়াও সম্মানিত হন মোট ২১৬ জন। স্বর্ণপদক, রৌপ্য পদক, পিএইচডি, এমএসসি ও বিএসসি সহ বিভিন্ন ডিগ্রি তুলে দেওয়া হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy