সুরক্ষা: বন্ধের শহরে পুলিশ প্রহরায় চলছে বাস। বালুরঘাটে। নিজস্ব চিত্র
বন্ধ ঘিরে উত্তর দিনাজপুরে জেলায় অপ্রীতিকর পরিস্থিতি রুখতে জেলার দশটি থানা এলাকায় প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। কিন্তু মঙ্গলবার জেলার কোথাও কোনও গোলমালের খবর মেলেনি।
হেমতাবাদের বিধায়ক দেবেন্দ্রনাথ রায়কে খুন করা হয়েছে— এই অভিযোগ তুলে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার ও তাঁর রহস্যমৃত্যুর সিবিআই তদন্তের দাবিতে এ দিন উত্তরবঙ্গ জুড়ে ১২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছিল বিজেপি।
রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমার বলেন, ‘‘জোর করে দোকানপাট বন্ধ করা ও রাস্তা অবরোধের অভিযোগে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৩ জন বনধ সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।”
স্থানীয় সূত্রে খবর, বন্ধে এ দিন রায়গঞ্জ, কালিয়াগঞ্জ, ইটাহার, হেমতাবাদ, করণদিঘি, গোয়ালপোখর, চাকুলিয়া, ইসলামপুর ও চোপড়া থানা এলাকার বেশিরভাগ দোকান বন্ধ ছিল। বেসরকারি যানবাহন চলাচল করেনি। তবে রায়গঞ্জ থেকে লোকাল ও দুরপাল্লার বিভিন্ন রুটে সরকারি বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে বনধের সমর্থনে মোটরবাইক মিছিল ও জোর করে দোকান বন্ধ করার অভিযোগে রায়গঞ্জের মোহনবাটী ও শিলিগুড়ি মোড় এলাকা থেকে বিজেপির একাধিক কর্মীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পথ অবরোধ করে সরকারি বাস আটকানোর অভিযোগে রায়গঞ্জের মহাত্মা গাঁধী রোড এলাকা থেকেও বিজেপির কয়েক জন নেতা ও কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। হেমতাবাদে কাকরসিংহ এলাকায় বনধের সমর্থনে বিজেপি নেতা-কর্মীরা রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন। কালিয়াগঞ্জ, ইসলামপুর, করণদিঘি-সহ বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ ধরপাকড় করে বিজেপির নেতা-কর্মীদের পথ অবরোধ তুলে দেয়।
এ দিন দুপুরে দেবেনের মৃতদেহ রায়গঞ্জে দলের জেলা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁকে শ্রদ্ধা জানান রায়গঞ্জের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী, উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মূর্মূ, জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়, কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক।
জেলা বিজেপি সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর অভিযোগ, “তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ বিজেপির নেতাকর্মীদের উপর অত্যাচার চালিয়েও এ দিন জেলায় বনধ ব্যর্থ করতে পারেননি।”
জেলা তৃণমূল সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পাল্টা দাবি, ‘‘বিজেপি গোলমালে প্ররোচনা দিতে পারে, তাই এ দিন তৃণমূলের কেউ বন্ধের বিরোধিতা করে রাস্তায় নামেননি। জেলার সাধারণ মানুষ বন্ধ ব্যর্থ করেছেন। দেবেনবাবু অস্বাভাবিক মৃত্যুর সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy