অনীত থাপা। —নিজস্ব চিত্র।
পাহাড়ে ধসে বিধ্বস্ত পাট্টাবং এলাকা ঘুরে দেখে ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলি তৈরি করে দেওয়ার ঘোষণা করলেন জিটিএ-প্রধান অনীত থাপা। সোমবার তাঁর সঙ্গে ছিলেন জিটিএ সচিব এস পুন্নমবলম। গত শুক্রবার এই এলাকায় ধসে চাপা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। পাহাড়ি ওই দুর্গম এলাকায় ২৫টি বাড়ি রয়েছে। এর মধ্যে দু’টি বাড়ি পুরোপুরি ধসে গিয়েছে। ১০টি বাড়ির অবস্থা একেবারেই ভাল নয়। যে কোনও সময় সেগুলি খাদে ধসে যেতে পারে। এলাকার পরিবারগুলিকে কমিউনিটি হলে এনে রাখা হয়েছে। সেখানে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন অনীতেরা। ব্লক অফিসের তরফে পাঠানো ত্রাণ নিয়েও তাঁরা তদারকি করেন।
অনীত বলেন, ‘‘মৃত ব্যক্তির পরিবারকে দু’লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িগুলিও তৈরি করা হবে। টানা বৃষ্টি চলায় পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।’’ প্রশাসন সূত্রের খবর, মারা যান বাবুলাল রাই নামের এক বাসিন্দা। সকালে রান্নাঘরে কাজ করছিলেন ওই ব্যক্তি। ধসে তাঁর বাড়ির একটা বড় অংশ নিয়ে ভেঙে নীচের দিকে খাদে নিয়ে চলে যায়।
এরমধ্যে টানা বৃষ্টি চলছে পাহাড় ও সমতলেও। উত্তরবঙ্গের পাঁচ জেলায় আগামী ২৪ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলায় আজ, মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। বেশ কিছু নদীতে হড়পা বানেরও পূর্বাভাস রয়েছে। গত রবিবার থেকেই বিক্ষিপ্ত ভাবে ভারী বৃষ্টি শুরু হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। এ দিন শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের মতো জায়গায় প্রবল বৃষ্টি হয়।
কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতরের সিকিমের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক গোপীনাথ রাহা বলেন, ‘‘পাহাড় এবং পাদদেশ সংলগ্ন পাঁচ জেলার উপরেই মৌসুমি অক্ষরেখা অবস্থান করছে। তাই এই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি থাকবে। অন্তত দু’দিন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy