রায়গঞ্জের দক্ষিণ সুদর্শনপুরে ধোঁয়া ছড়ানো। নিজস্ব চিত্র
উত্তর দিনাজপুর জেলার পরে, এ বারে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বাসিন্দা এক বৃদ্ধ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন। মঙ্গলবার দুপুরে রায়গঞ্জ মেডিক্যালে মৃত ওই বৃদ্ধের নাম ধীরেন্দ্রনাথ সরকার (৬৯)। ধীরেন্দ্রনাথের বাড়ি হরিরামপুর থানার দানোগ্রাম এলাকায়। কিন্তু, ওই বৃদ্ধের মৃত্যুর ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও বুধবার বিকেল পর্যন্ত জেলার কোনও ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যুর ঘটনা জানা নেই বলে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের দাবি। যদিও রায়গঞ্জ মেডিক্যালের সহকারী সুপার অভীক মাইতি বলেন, “ধীরেন্দ্রনাথবাবু ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। তাঁর ‘ডেথ সার্টিফিকেটে’ ডেঙ্গিতে মৃ্ত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা গেলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের মৃতের বাড়ি ও আশপাশের এলাকা পরিদর্শন করা নিয়ম। ওই এলাকায় আবর্জনা সাফাই-সহ মশা মারার কাজ ঠিকঠাক চলছে কি না, তারও নজরদারি করার কথা। কিন্তু বুধবার বিকেল পর্যন্ত দানোগ্রামে ধীরেন্দ্রনাথের বাড়িতে বা তাঁর বাড়ির আশপাশে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কোনও কর্তা যাননি বলে অভিযোগ।
দক্ষিণ দিনাজপুরের উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ২ দেবাশিস পাল বলেন, “জেলার কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কাছে কোনও তথ্য নেই।” জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের দাবি, তাঁদের নথি অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত চলতি বছরে দক্ষিণ দিনাজপুরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর নেই।
উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণকুমার শর্মা বলেন, “আমি মিটিংয়ে ব্যস্ত আছি।” উত্তর দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “ওই বৃদ্ধের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে কি না, তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে।”
মেডিক্যাল সূত্রের খবর, ২৩ অক্টোবর জ্বর নিয়ে ওই বৃদ্ধ মেডিক্যালে ভর্তি হন। তাঁর ‘ডেঙ্গি পজ়িটিভ’ রিপোর্ট আসে। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত উত্তর দিনাজপুরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা চারশোর কাছাকাছি। দক্ষিণ দিনাজপুরে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৬৪০ জন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৩ অক্টোবর রায়গঞ্জ মেডিক্যালে ইটাহারের বাসিন্দা ডেঙ্গি আক্রান্ত বছর উনিশের এক তরুণের মৃত্যু হয়। উত্তর দিনাজপুরে চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ওই তরুণই প্রথম ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন বলে স্বাস্থ্য দফতরের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy