জলপাইগুড়িতে পুলিশের সামনেই চলেছেন হেলমেটহীন আরোহী। ছবি: সন্দীপ পাল।
বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মরত মোটরবাইক চালকদের হেলমেট ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহার জেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে ওই ব্যাপারে বৈঠক করবেন খোদ জেলাশাসক।
সরকারি সূত্রের খবর, আগামী ১৮ জুলাই কোচবিহারে জেলাশাসকের দফতর চত্বরে ওই বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সে দিনই সমস্ত বিভাগের আধিকারিকদের নিজের নিজের দফতরের কর্মীরা মোটরবাইক চালানোর সময় যাতে হেলমেট ব্যবহার করেন সে ব্যাপারে কড়া বার্তা দেওয়া হবে। এই পরিস্থিতিতে তৎপরতা শুরু হয়েছে কোচবিহারের জেলা পুলিশের অন্দরেও।
বুধবার কোচবিহারের পুলিশ সুপারও বিভিন্ন থানায় নির্দেশ পাঠিয়েছেন। তাতে মোটরবাইক চালানোর সময় কোনও পুলিশকর্মীকে হেলমেট ছাড়া দেখা গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এ দিন কোচবিহারের বিভিন্ন পেট্রোল পাম্পেও গ্রাহকদের ‘ নো হেলমেট নো পেট্রোল’ লেখা ব্যানার দিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর কাজ শুরু করেছে পুলিশ।
কোচবিহারের জেলাশাসক পি উল্গানাথন বলেন, “ বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে শীঘ্র বৈঠক করা হবে। সেখানে সরকারি জমি চিহ্নিতকরণের পাশাপাশি পথ নিরাপত্তা, হেলমেট ব্যবহার নিয়েও আলোচনা হবে। ওই বৈঠক থেকে সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্মীরা যাতে মোটর বাইক চালালে হেলমেট ব্যবহার করেন সে ব্যাপারে সচেতন করে দেওয়া হবে।” কোচবিহারের পুলিশ সুপার সুনীল যাদব বলেন, “হেলমেট ছাড়া মোটরবাইক চালাতে দেখা গেলে পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধেও নিয়মমাফিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওই ব্যাপারে থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।”
সরকারি সূত্রের খবর, কোচবিহার সাগরদিঘি চত্বরকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতর রয়েছে। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারের দফতর থেকে আঞ্চলিক পরিবহণ আধিকারিক, সদর মহকুমা শাসক, ট্রেজারি, শিক্ষা দফতরের অফিস ওই তালিকায় উল্লেখযোগ্য। তাঁদের অনেকেই মোটর বাইক নিয়ে যাতায়াত করেন। প্রত্যন্ত গ্রামের অফিসগুলিতে কর্মীদের বড় অংশের যাতায়াতের ভরসা মোটরবাইক।
সবমিলিয়েই হেলমেট ব্যবহার নিয়ে কড়াকড়ির মধ্যে তাঁদের সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপারে বাড়তি জোর দিচ্ছেন পুলিশ কর্তারা। কারণ সরকারি কর্মী থেকে সাধারণ পুলিশকর্মীদের অনেককে হেলমেট ছাড়া বাইক চালাতে দেখা যায়। এবার হেলমেট ব্যবহার নিয়ে কড়াকড়ির জেরে পুলিশ – প্রশাসনের কর্মীদের একজনও ওরকম কোন ঘটনা জড়িয়ে গেলে তাতে একে বাসিন্দাদের মধ্যে ভুল বার্তা যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তার ওপর সরকারি উদ্যোগ নিয়েও অস্বস্তির মুখে পড়তে হতে পারে পদস্থ কর্তাদের। তাই হেলমেট ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়ানোর ব্যাপারে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের এক কর্তা জানান, অফিস বসের নজরদারি রয়েছে জানলে কর্মীদের কেউই নিয়ম মানার ব্যাপারে গড়িমসির কোন ঝুঁকি নিতে চাইবেননা। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার জলপাইগুড়িতে পুলিশ কর্মীদের হেলমেট পরতে হবে বলে নির্দেশ জারি করেন এসপি। এ দিন সকালে কোচবিহারের পুলিশ সুপারও কর্মীদের হেলমেট পরতে হবে জানিয়ে দেন। নিয়ম ভাঙলে জরিমানার দাওয়াই নিয়ে সতর্ক করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy