ত্রস্ত: কালিম্পঙে বন্ধ দোকান, বাসিন্দাদের মুখে উদ্বেগ। নিজস্ব চিত্র
বেলা তিনটে অবধি কিছু বোঝা যায়নি। সব কিছু চলছিল রোজকার মতো। তার পরে হঠাৎই বিনা মেঘে যেন বজ্রপাত। আচমকা বাজার, দোকান বন্ধ। পথে মোর্চার লোকজন।
একনজরে এটাই ছিল বৃহস্পতিবার কালিম্পঙের দৃশ্য।
দুপুর দুটোর সময়েও যে সব পর্যটক এখানে ঘুরে বেড়িয়েছেন বা এখান দিয়ে গিয়েছেন, তাঁরা ঘূণাক্ষরেও আঁচ করতে পারেননি কিছু। দার্জিলিঙে কিছু একটা ঘটছে। কিন্তু তার আঁচ কি পড়বে কালিম্পঙে?
‘‘সত্যি বলতে কি, সকাল থেকে এ সব ভাবিইনি,’’ বলছিলেন কালিম্পং বাজারে এক দোকানি। সূর্য যখন পাহাড়ের প্রান্তে ঢলছে, তখন তিনি শাটার নামানো দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে। এই ভরা পর্যটন মরসুমে আচমকা বন্ধ যে ব্যবসায় বড় ধাক্কা দিল, সেটাও মেনে নিলেন ঠারেঠোরে। সরাসরি কিছু বলতে চাইছেন না। তবে কি মোর্চার ভয়?
আর এক দোকানি বললেন, ‘‘ভয় পাওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। এই দেখুন না, লোকজন নেমে পড়েছে রাস্তায়।’’ ঠিকই তাই। কালো পতাকা নিয়ে কয়েক জন ততক্ষণে বসে গিয়েছেন বন্ধ দোকানগুলির সামনে। সমানে চলছে রাজ্য সরকার বিরোধী স্লোগান।
অনেক দিন পরে এমন ছবি দেখল পাহাড়। কালিম্পংকে আলাদা জেলা ঘোষণা করা হয়েছে। তবু দার্জিলিঙের ধাক্কা এসে লাগল সেখানেও। যদিও স্থানীয় পর্যটন ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ সব সত্ত্বেও তাঁরা পর্যটকদের রেখে দিয়েছেন। এমনই এক জন অজয় প্রধান। তিনি তাঁর কোনও অতিথিকে নীচে নামতে দেননি। বরং স্থানীয় এলাকায় ঘুরিয়ে এনেছেন তাঁদের।
কিন্তু শুক্রবার থেকে যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়? দার্জিলিঙের হল্কায় ফের পুড়তে শুরু করে হরকাবাহাদুর ছেত্রীর শহর? এই নিয়ে এখনই কেউ মুখ খুলতে চাইছেন না। না হোটেল মালিক, না পর্যটক। একটা আতঙ্ক যে আছে, সেটা সকলেই মানছেন। আবার এটাও বলছেন, বাংলা ভাষা যেখানে মুখ্যমন্ত্রী ঐচ্ছিক করে দিয়েছেন, তার পরে এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা কি? এতে আবার আগের মতো অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হবে না তো?
এমন সব প্রশ্নই ঘুরছে কালিম্পঙের অলিতে গলিতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy