E-Paper

পাঁচ বছরে চার উপাচার্য বদলাল বিশ্ববিদ্যালয়ে

২০২৪ সালের ২ মে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষক পবিত্র চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপাল তথা আচার্যের মনোনীত উপাচার্য হিসাবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেন।

অভিজিৎ সাহা

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ০৯:০১
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। ফাইল চিত্র।

পাঁচ বছরে চার জন উপাচার্য বদল হল গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। বুধবার রাজ্যপাল তথা আচার্য সি ভি আনন্দ বোস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদ থেকে রসায়ন বিভাগের শিক্ষক পবিত্র চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়ায় হইচই পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে। কারণ রাজ্যপালেরই মনোনীত ছিলেন তিনি। তবে তাঁর আচমকা বদল নিয়ে ঘনিষ্ট মহলেও কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিদায়ী উপাচার্য পবিত্র চট্টোপাধ্যায়। ফোনও ধরেননি তিনি। এ দিন তিনি বিশ্ববিদ্যালয়েও আসেননি।

২০২৪ সালের ২ মে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়নের শিক্ষক পবিত্র চট্টোপাধ্যায় রাজ্যপাল তথা আচার্যের মনোনীত উপাচার্য হিসাবে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজে যোগ দেন। এক বছর তিন মাসের মধ্যে রাজ্যপালই তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার কারণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে একাধিক গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের একাংশের দাবি, আন্তঃকলেজ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা থেকে শুরু করে পুকুর খনন করে সৌন্দার্যায়নের নামে একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে এই আমলে। তবে অপর একাংশের দাবি, ২০১৬ সালের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান হয়নি। মালদহ এবং দুই দিনাজপুরের লক্ষাধিক ছাত্রছাত্রী স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সমাবর্তনের জন্য রাজ্যের সরকারের কাছে দরবার করেছিলেন তিনি। তাতেই রাজ্যপাল তথা আচার্য ক্ষুব্ধ হয়ে থাকতে পারেন।

এ দিন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেছেন, “রাজভবন থেকে সরাসরি মেল করে উপাচার্যকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি জানানো হয়েছে। রেজিস্ট্রার অফিসে এই প্রসঙ্গে কোনও চিঠি আসেনি।” সরকারি সূত্রে খবর, আগামী ৩১ অগস্টের মধ্যে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জন্য নির্দিষ্ট প্রক্রিয়াও সম্পন্ন হয়েছে।

আচমকা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বদলের নজির রয়েছে। ২০২০ সাল থেকে রাজ্যপাল মনোনীত উপাচার্য রয়েছেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। ২০২০ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক চঞ্চল চৌধুরী উপাচার্য ছিলেন। তাঁকে সরিয়ে উপাচার্য করা হয়েছিল শিলিগুড়ি কলেজের অধ্যক্ষ শান্তি ছেত্রীকে। তার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রজতকিশোর দে ও তাঁকে সরিয়ে উপাচার্য করা হয় পবিত্রকে।

উপাচার্য বদলের পাশাপাশিই গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। এই প্রসঙ্গে বিজেপির দক্ষিণ মালদহের সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় এই গিন বলেন, “গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এখন দুর্নীতির পাহাড়ে ঢেকেছে।’’ তবে তৃণমূলের শিক্ষক সংগঠন ওয়েবকুপার গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি সনাতন দাস বলেন, “রাজ্যপাল তথা আচার্য উপাচার্য মনোনীত করে পাঠাচ্ছেন। আর উপাচার্যেরা ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে রাজ্যের সরকারের দ্বারস্থ হলেই রাজ্যপালের বিরাগভাজন হচ্ছেন।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Gour Banga Malda

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy