ব্যস্ত রাস্তার ধারে জঞ্জালের স্তুপ। জনবসতি এলাকাও ভরেছে বাজার আর বাড়ির আবর্জনায়। শিলিগুড়ির বাগডোগরা এলাকায় এ ভাবেই জঞ্জালের স্তুপ জমছে বলে অভিযোগ। তার জেরে সমস্যায় বায়ুসেনা। জঞ্জালের স্তুপে খাবারের খোঁজে বাগডোগরার আকাশে ঘুরছে চিল, শকুন, অন্য পাখি। সঙ্কট সেখানেই। বাগডোগরায় বায়ুসেনার ঘাঁটি রয়েছে। সেখানে নিয়মিত বায়ুসেনার বিমান ওঠানামা করে। আকাশে পাখির আনাগোনায় বিমান ওঠানামায় সমস্যা হচ্ছে বলে দাবি বায়ুসেনার।
সেই সমস্যার সমাধানে বাগডোগরায় বায়ুসেনার তরফে সম্প্রতি একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে দার্জিলিং এবং জলপাইগুড়ি জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন স্তরের আধিকারিকদের ডাকা হয়েছে। লোয়ার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাছে জঞ্জাল সমস্যা সমাধানের আবেদন জানানো হয়েছে। পঞ্চায়েতের বক্তব্য, বাড়ি থেকে জঞ্জাল সংগ্রহ করা হয় না। তার জেরেই রাস্তার পাশে বিভিন্ন এলাকায় আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। বিমানবন্দর লাগোয়া এলাকাতেও রাস্তায় পড়ে থাকছে জঞ্জাল। সেখানেই ভিড় করছে পাখিরা।
লোয়ার বাগডোগরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার আবর্জনা শিলিগুড়ি পুরসভার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে পাঠিয়ে আপাতত সেই সমস্যা সমাধানের কথা জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। সেই প্রস্তাব তাঁরা বায়ুসেনার আধিকারিকদের মাধ্যমে প্রশাসনের আধিকারিকদের জানাতে চাইছেন। পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা বর্মণ বলেন, ‘‘জঞ্জাল সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। নকশালবাড়ি পঞ্চায়েতে জঞ্জাল পাঠানো নিয়ে আলোচনা চলছে।’’ তবে নকশালবাড়িতে জায়গার অভাব রয়েছে বলে পঞ্চায়েত সদস্যদের কয়েকজন দাবি করেছেন। এর আগে, বাগডোগরা বিমানবন্দরের জঞ্জাল নকশালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতে পাঠানোর জন্য চুক্তি হয়েছে। বিমানবন্দরের ভিতরের জঞ্জাল সমস্যার সমাধান হলেও বাইরের জঞ্জাল চিন্তা বাড়াচ্ছে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)