শিলিগুড়ি পুরসভা ২০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী রঞ্জন সরকারের তফশিলি জাতির শংসাপত্র নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন পুরভোটের রিটার্নিং অফিসার তথা মহকুমা শাসক দীপাপ প্রিয়া। বুধবার বিকালে দার্জিলিং জেলা সিপিএমের করার অভিযোগের ভিত্তিতে মহকুমা শাসক ওই নির্দেশ দিয়েছেন। সিপিএমের অভিযোগ, “তৃণমূল প্রার্থী রঞ্জনবাবুর শংসাপত্রটি জাল। পারিবারিক সূত্রে তিনি তফশিলি জাতির না হয়েও অসত্ উপায়ে তা জোগাড় করেছেন।” এদিন অভিযোগপত্রের সঙ্গে রঞ্জনবাবুর এক দাদা সরকারির চাকরির কিছু কাগজপত্রও বামেদের তরফে রিটার্নিং অফিসারের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আইনের দ্বারস্থ হওয়ার কথাও অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে মহকুমাশাসক বলেন, “সিপিএমের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পরেই বিষয়টি স্পষ্ট হবে।”
এবার পুরভোটে ২০ নম্বর ওয়ার্ডটি তফসিলি জাতির জন্য সংরক্ষিত হয়েছে। তৃণমূল প্রার্থী রঞ্জনবাবু ছাড়াও ওই ওয়ার্ডের সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন মায়াদেবী পাশোয়ান। ওয়ার্ডে বিজেপি এবং কংগ্রেসও প্রার্থী দিয়েছে। মায়া দেবী গতবার এই ওয়ার্ড থেকে তৃণমূল প্রার্থীকে হারিয়েছিলেন। এদিন মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষদিনে দুপুর ২টা নাগাদ রঞ্জনবাবুর কর্মী, অনুগামীদের মিছিল নিয়ে এসে আদালত চত্বরে থাকা নির্বাচনী দফতরে মনোনয়ন জমা দেন। এর কিছুক্ষণ আগেই সিপিএমের তরফে রিটার্নিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়।
জেলা সিপিএমের সম্পাদক জীবেশ সরকারের সন্দেহ, “অসত্ উপায়ে ওই শংসাপত্রটি জোগাড় করা হয়েছে। এমনকি সেটি জালও হয়ে পারে। শাসক দলের একজন প্রার্থীর এই বিষয়টি পরিস্কার হওয়া দরকার। আমরা মামলার প্রস্তুতিও নিচ্ছি।”
বামেদের অভিযোগের জেরে অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূল শিবিরেও। জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা মন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, “আসলে ওই ওয়ার্ডে বামেদের অবস্থা ভাল নয় বুঝেই এই ধরণের রাজনৈতিক কুত্সা শুরু করা হয়েছে।” আর তৃণমূল প্রার্থী তথা পেশায় আইনজীবী রঞ্জনবাবুর সংক্ষিপ্ত বক্তব্য, “কমিশন দেখবে কী ঠিক কি ভুল। সিপিএম অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে মানহানির মামলার পথে যাব।”
পুরসভা সূত্রের খবর, এর আগে ১৯৯৯ সালে পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একবার তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে লড়াই করেছিলেন। সাধারণ হিসাবে চিহ্নিত ওই ওয়ার্ডে তিনি সেবার সিপিএমের প্রাক্তন মেয়র পারিষদ শান্তি চক্রবর্তীর কাছে হেরে যান। পরে ২০০৪ এবং ২০০৯ ওয়ার্ডটি তফশিলি জাতির সংরক্ষিত হলেও তাঁকে অবশ্য দল আর প্রার্থী করেনি। এবার তিনি সংরক্ষিত ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছে। ওই এলাকারই বাসিন্দা রাজ্যের প্রাক্তন পুরমন্ত্রী তথা সিপিএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। অশোকবাবু বলেন, “একজন আসল তফশিলিকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমাদের আপত্তি সেখানেই। রঞ্জনবাবুকে নিয়ে আমরা ভাবছিই না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy