তৃণমূল, কংগ্রেসের মতোই পঞ্চায়েতে মালদহে নজর দিচ্ছে বিজেপিও। জেলায় ভোটের আগে ‘ঘর গোছাতে’ বৃহস্পতিবার মালদহে পৌঁছলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জগৎপ্রকাশ নাড্ডা। তিনি বিজেপির তরফে উত্তরবঙ্গের দায়িত্বে রয়েছেন বলে দল সূত্রে খবর।
এ দিন তিনি কোনও দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেননি। তবে আজ, শুক্রবার সকাল থেকে উত্তর মালদহ লোকসভার অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা এলাকার সমস্ত দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে তাঁর দফায় দফায় বৈঠক করার কথা। দলের মালদহ জেলা কার্যালয়েই বিধানসভা ভিত্তিক সেই বৈঠক হবে বলে দলীয় সূত্রে খবর। রাতে জেলা কমিটির নেতৃত্বদের সঙ্গেও পঞ্চায়েত ভোটের রণকৌশল ঠিক করতে আলোচনায় বসবেন তিনি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে দু’দিনের সফরে এ দিন মালদহে পৌঁছন নাড্ডা। দিল্লি থেকে এ দিন দুপুরে বিমানে তিনি বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন। তারপর সড়কপথে বিকেলে মালদহে আসেন। পুরাতন মালদহের গৌড় ভবনে তিনি উঠেছেন। সেখানে তাঁকে স্বাগত জানাতে যান দলের জেলা সভাপতি সুব্রত কুণ্ডু-সহ দলের নেতৃত্ব। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই তিনি দলীয় সাংগঠনিক বৈঠক শুরু করে দেবেন।
গত পঞ্চায়েত ভোটে মালদহ জেলায় ভালো ফল করতে পারেনি বিজেপি। কিন্তু পরের বছরই লোকসভায় মালদহের দু’টি আসনেই বিজেপির ভোট অনেক বেড়ে যায়। দু’টি আসনেই বিজেপি প্রার্থীরা শাসক দল তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে। যদিও বিধানসভা নির্বাচনে সেই ধারাবাহিকতা তারা ধরে রাখতে পারেনি। কিন্তু বৈষ্ণবনগর আসনটিতে বিজেপি প্রার্থী স্বাধীন সরকার জয়ী হন। এ বার পঞ্চায়েত ভোটেও ভাল ফল করতে মরিয়া বিজেপি।
জেলা নেতাদের দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারে দল থাকার সুবাদে মালদহ জেলার বেশ কয়েকটি ব্লকে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তি অনেকটাই বেড়েছে। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচিতে মানুষের যোগদান সেই বিষয়টিতে সুনিশ্চিত করছে বলে দাবি দলের নেতৃত্বের। তাই পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের ঘর গুছিয়ে নিতে জেপি নাড্ডার এই সফর বলে দাবি দলের জেলার সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, ‘‘মন্ত্রী শুক্রবার সকাল নটা থেকে উত্তর মালদহ লোকসভার অন্তর্গত চাঁচল, হরিশ্চন্দ্রপুর, মালতীপুর, রতুয়া, গাজোল, হবিবপুর ও মালদহ এই সাতটি বিধানসভা এলাকার দলীয় কার্যকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। রাতে জেলা কমিটির নেতৃত্বদের সঙ্গেও বৈঠক রয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলার সাংগঠনিক ভিত কেমন মজবুত রয়েছে তা পরখ করতেই এখানে আসা। পঞ্চায়েতে এই জেলায় দলের ফলাফল যাতে ভালো হয় সেজন্য সমস্ত কার্যকর্তাদের এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে বলা হবে।’’
এ দিন দলের জেলা সভাপতি সুব্রত কুণ্ডু বলেন, জেলা পরিষদের ৩৮টি আসনেই তাঁরা প্রার্থী দেবেন। তবে পঞ্চায়েত সমিতির ৪২৩টি আসনে প্রার্থী দাঁড় করানো যাবে কি না সেটা নিয়ে আলোচনা চলছে। কিছু আসনে প্রার্থী দেওয়া নিয়ে সমস্যা রয়েছে। একই অবস্থা গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রেও। তবে সব আসনে যাতে প্রার্থী দেওয়া যায় সেই চেষ্টাই চলছে বলে দাবি বিজেপির।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy