প্রতীকী ছবি।
মহিলা ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার ভার নিজের দায়িত্বে নিলেন জলপাইগুড়ির মহিলা জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। জলপাইগুড়ি জেলায় এ বার ৪৬৯টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র পুরোপুরি মহিলা পরিচালিত হবে। এ জন্য প্রায় দু’হাজারের কাছাকাছি মহিলা ভোটকর্মী প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষিকাদের ভোটকর্মী হিসেবে নিতে শুরু করেছে প্রশাসন। তবে মহিলা ভোটকর্মীদের নিরাপত্তা দেওয়া নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে। সেই প্রসঙ্গেই এ দিন জেলাশাসক বলেন, ‘‘মহিলা ভোটকর্মীদের যাবতীয় নিরাপত্তার দায়িত্ব আমি নিজে নিচ্ছি।’’
জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মহিলা ভোটকর্মীদের জেলা সদর অথবা ব্লক সদরের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। এমন সব বুথে মহিলাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, যেগুলির কাছাকাছি থানা বা প্রশাসনিক অফিস থাকবে। সন্তানসম্ভবা অথবা যাঁদের সন্তানের বয়স ৫ বছরের কম তাঁদের ভোটের কাজের দায়িত্ব দেওয়া হবে না বলে প্রশাসন জানিয়েছে। পরিবারের কেউ অসুস্থ থাকলেও তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। মহিলা পরিচালিত বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বেশি থাকতে পারে বলেও সূত্রের দাবি। মহিলা ভোটকেন্দ্রে কর্মীদের যাতায়াতের জন্য অতিরিক্ত গাড়িও রাখা থাকবে।
এ বারের ভোট প্রক্রিয়ায় সরাসরি নজরদারি চালানোর ব্যবস্থা করেছে কমিশন। মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া থেকেই শুরু হচ্ছে ভিডিয়োগ্রাফি। মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে রিটার্নিং অফিসারের সামনে। সেই ঘরের সরাসরি রেকর্ডিং তো থাকবেই, সঙ্গে বাইরের ছবিও সরাসরি দেখবে কমিশন। জলপাইগুড়িতে ২৩ মার্চ থেকে মনোনয়ন জমা শুরু। শনি-রবিবার মনোনয়ন জমা বন্ধ থাকবে। দোলের প্রথম দিন রবিবার মনোনয়ন জমা নেওয়া বন্ধ থাকলেও দ্বিতীয় দিন, মঙ্গলবার মনোনয়ন জমা নেওয়া হবে। ৩০ মার্চ মনোনয়ন জমার শেষ দিন।
জেলায় এ বার বুথ সংখ্যাও বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বড় বুথগুলিকে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। এ বারে বুথের সংখ্যা বাড়ছে ৬৬৮টি। জলপাইগুড়ি বিধানসভায় এ বার বুথ অ্যাপ চালু করছে প্রশাসন। কোন বুথে কখন কত ভোট পড়ছে, তা প্রতি মুহূর্তে এই অ্যাপে জানা যাবে। এ দিকে, ভোট ঘোষণার পরদিনই জোর কদমে নেমে পড়েছে আদর্শ আচরণ বিধি তথা এমসিসি সেল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy