কালিয়াচক-কাণ্ডে ব্রিটেনের সিরিয়াল কিলারের ছায়া! — ফাইল চিত্র
মৃতদেহ অ্যাসিড বা অন্য কোনও রাসায়নিকে ডুবিয়ে দেহ লোপাটের ছক কষেছিল কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডের পাণ্ডা মহম্মদ আসিফ। এমনটাই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সেই জল্পনা আরও উস্কে দিয়েছে, আসিফের বাড়ি লাগোয়া ওই রহস্যজনক গুদাম থেকে উদ্ধার হওয়া রাসায়নিক পদার্থ। সেগুলো অ্যাসিড কি না তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। প্রাথমিক ভাবে আসিফের এই পরিকল্পনায় ব্রিটেনের সিরিয়াল কিলার জন জর্জ হাইয়ের কর্মকাণ্ডের ছায়া দেখছেন তদন্তকারীরা। অপরাধের ইতিহাসে খুনি হাই পরিচিত ‘অ্যাসিড বাথ মার্ডারার’ নামেই।
কালিয়াচক হত্যাকাণ্ডের তদন্ত এখনও পর্যন্ত যতটা এগিয়েছে তাতে একের পর এক চমকপ্রদ তথ্য উঠে আসছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, সম্প্রতি খুন এবং দেহ লোপাটের নানা প্রক্রিয়া নিয়ে খোঁজখবর ইন্টারনেটে নিচ্ছিল আসিফ। এ নিয়ে সে ইন্টারনেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় কাটিয়েছিল। তার ল্যাপটপ এবং মোবাইলের ইন্টারনেট সার্চ হিস্ট্রি ঘেঁটে এমনই সব তথ্য পাওয়া গিয়েছে।
আসিফের বাবা, মা, বোন এবং ঠাকুমার দেহগুলির পরিণতি দেখে তদন্তকারীরা মনে করছেন, সেগুলি অ্যাসিড বা অন্য কোনও রাসায়নিকের মাধ্যমে লোপাটের ছক কষা হয়েছিল। নিশ্চিত হতে ৪ জনের দেহে লেগে থাকা মাটি এবং ওই গুদামের গর্তের মাটিও পরীক্ষা করা হবে বলে তদন্তকারীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। ওই গুদাম থেকে কিছু রাসায়নিকের ড্রাম উদ্ধার করা হয়েছে। তার ভিতরে যে রাসায়নিক পাওয়া গিয়েছে তা পরীক্ষা করা হচ্ছে।
আসিফের কাজে ১৯৪০-এর ব্রিটেনের কুখ্যাত সিরিয়াল কিলার হাইয়ের ছাপ দেখতে পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। ৯ জনকে হত্যা করেছিল ব্রিটেনের ওই খুনি। তাদের দেহ সালফিউরিক অ্যাসিডে লোপাট করেও দিয়েছিল সে। ১৯৪৯ সালে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় হাইকে। অপরাধের ইতিহাসে ‘অ্যাসিড বাথ মার্ডারার’ নামেই পরিচিত হাই। কালিয়াচক কাণ্ডে যেন তারই ছায়া দেখা যাচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy