Advertisement
E-Paper

জায়গা বাড়াতে সরবে কিয়স্ক

এএআই সূত্রের খবর, সম্প্রতি সংস্থার আঞ্চলিক অধিকর্তা বাগডোগরা এসেছিলেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করা ছাড়াও বর্তমান টার্মিনাল ভবনের পরিসর বাড়ানোর জন্য তিনি নির্দেশ দিয়ে যান।

কৌশিক চৌধুরী

শেষ আপডেট: ০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:১৪
ব্যস্ততা: এখন যেখানে কাউন্টারগুলি রয়েছে। (উপরে) যেখানে কাউন্টার নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। (নীচে) নিজস্ব চিত্র

ব্যস্ততা: এখন যেখানে কাউন্টারগুলি রয়েছে। (উপরে) যেখানে কাউন্টার নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। (নীচে) নিজস্ব চিত্র

বাগডোগরা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের কাজ শুরু হয়েছে। তা শেষ হতে কমপক্ষে বছর দুয়েক সময় লাগবে। তারমধ্যেই রোজ বাড়ছে যাত্রী সংখ্যা। গত বছরই বাগডোগরা বিমানবন্দরের যাত্রী সংখ্যা ৩০ লক্ষ ছুঁয়েছে। সেদিকে তাকিয়ে পরিষেবার কথা মাথায় রেখে টার্মিনালের সামনের একাংশের নকশা আমূল বদলাতে চলেছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, টার্মিনাল ভবনের ঢোকা এবং বের হওয়ার এলাকার মাঝে একাধিক বিমানসংস্থার টিকিট কাউন্টার, এয়ারপোর্ট অথরিটি অব ইন্ডিয়ার কাউন্টার, বিমানবন্দরের টিকিট কাউন্টার, হেলিকপ্টার সংস্থার অফিস রয়েছে। সেগুলি ভেঙে দেওয়া হবে। তার বদলে টার্মিনালের ঢোকা বা বের হওয়ার গেটের উল্টোদিকের খালি অংশে রাস্তার পাশে নতুন করে শেড বানিয়ে কাউন্টারগুলি নিয়ে যাওয়া হবে। এতে টার্মিনালের পরিসর বাড়বে।

এএআই সূত্রের খবর, সম্প্রতি সংস্থার আঞ্চলিক অধিকর্তা বাগডোগরা এসেছিলেন। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বৈঠক করা ছাড়াও বর্তমান টার্মিনাল ভবনের পরিসর বাড়ানোর জন্য তিনি নির্দেশ দিয়ে যান। সেখানে ১৬টি ছোট অফিস বা কাউন্টার সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হয়। তারপরে বিমানবন্দরের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে নকশা তৈরি করে জানুয়ারিতে নতুন পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি হয়। ওই মাসের শেষেই টেন্ডার হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে চলতি আর্থিক বছরই কাজ শুরু হবে। প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৮৫ লক্ষ টাকা। কাজ শুরুর পাঁচমাসের মাথায় তা শেষ হবে।

বাগডোগরা বিমানবন্দর অধিকর্তা সুব্রমণি পি বলেন, ‘‘যাত্রী পরি‌ষেবা এবং স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাখায় রেখে যা যা করণীয় তা করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, নতুন সম্প্রসারণের কাজ শুরু না হওয়া অবধি নকশা অদলবদল করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হচ্ছে।

বিমানবন্দর সূত্রের খবর, গত বছরের পুজোর সময় বর্তমান টার্মিনাল ভবন রানওয়ের দিকে কিছুটা বাড়িয়ে তৈরি করা হয়েছে। এতে সিকিউরিটি হোল্ড এলাকা বেড়েছে। এর আগে সিকিউরিটি হোল্ড এলাকার পাশে থাকা রেস্তরাঁটি তুলে টার্মিনালের সামনে নতুন নির্মাণ করে নিয়ে আসা হয়েছে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যাচ্ছে না।

এএআই-র কয়েকজন অফিসার জানান, নিয়মিত ৩৬-৩৭ জোড়া বিমান বাগডোগরা থেকে চলাচল করছে। এর ফলে ঘণ্টায় ৭০০ জনের ধারণ ক্ষমতার টার্মিনাল ভবনে এক ঘণ্টায় ৩ হাজারের বেশি যাত্রী ঢুকছে। প্রতিদিনই একাধিক লম্বা লাইন, ধাক্কাধাক্কি চলছে। যাত্রীরা এসে অনেকেই ঠিকঠাক বসার জায়গা পান না বলেও অভিযোগ। ল্যাগেজ চেক, বোর্ডিং কাউন্টার এবং শৌচালয়ে বাসস্ট্যান্ডের মত লাইন পড়ে। এ সব দেখেই বাগডোগরার আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের জন্য প্রায় ৫০০ কোটি টাকার প্রকল্প তৈরি হয়। এ বছর মার্চ থেকে প্রায় ১০৪ একর জমি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হবে। তার পরে নতুন টার্মিনাল ভবনের কাজ হবে। কলকাতা বিমানবন্দরের ধাঁচে নতুন টার্মিনাল তৈরিতে ২৪-৩৬ মাস লাগবে। সেই সময় পর্যন্ত পরিস্থিতি সামাল দিতে বর্তমান টার্মিনালের পরিকাঠামোর অদলবদল হচ্ছে।

Bagdogra Airport Kiosk
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy