ভাঙন দেখাচ্ছেন বাসিন্দারা।—নিজস্ব চিত্র।
পার ভাঙছে যমুনা নদীর। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার নগর বেরুবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের লালবাজারপাড়া এলাকায় ভাঙন শুরু হওয়ায় বেরুবাড়ি বাজার থেকে জয়ন্তীপাড়া যাওয়ার রাস্তা বিপন্ন। বিপন্ন একটি মেলার মাঠ। ভাঙন রোধের ব্যাপারে সরকার উদাসীন বলে অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের। তাই ক্ষোভ বা়ড়ছে। লালবাজারপাড়ার বাসিন্দারা সম্প্রতি স্মারকলিপিও দিয়েছেন মহকুমাশাসককে।
গত এক মাস ধরে যমুনা নদী বেরুবাড়ির পূর্ব লালবাজারপাড়া এলাকায় পার ভাঙছে। এক কিলোমিটার জায়গা জুড়ে এই ভাঙন চলছে। অর্ধচন্দ্রাকৃতিভাবে এই ভাঙন শুরু হয়েছে। নদী রাস্তার একবারে পাশে এসে পৌঁছেছে। রাস্তাটির লাগোয়া নদীর পার ধরে বেশ কিছুটা অংশ জঙ্গলে ঢাকা। স্থানীয় একটি চা কারখানার মালিক দিলীপ দাস বলেন, “জঙ্গলের মধ্যে ভুল করে অনেকে পা দিয়ে পড়তে পড়তে বেঁচে গেছেন। আমার নিজেরই একবার এরকম ঘটনা ঘটেছে। রাত্রি বেলা জায়গাটা আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে।”
ভাঙন গ্রাস করতে চলেছে কর্ণেশ্বরী বারুনির মাঠও। চৈত্র মাসে বারুনি স্নান উপলক্ষে এই মাঠটিতে একটি বড় মেলা হয়। বাসিন্দারা জানিয়েছেন ২৫ বিঘার মাঠের ৫ বিঘা ইতিমধ্যেই নদী গর্ভে চলে গেছে। ভাঙনে বিপন্ন নদী একটি মন্দিরও। আর কুড়ি ফুট ভাঙলেই মন্দিরটি নদীর মধ্যে চলে যাবে। পূর্ব লালবাজারপাড়ার বাসিন্দা মোশারফ হোসেন, গোপাল মন্ডল বলেন, “নদী ভাঙন রোধ করার ব্যবস্থা না করলে মেলার মাঠটি নদীর মধ্যে চলে যাবে। এই এলাকায় দ্বিতীয় কোন মেলার মাঠ নেই।”
নগর বেরুবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান প্রমিলা বর্মণ বলেন, “নদীভাঙন রোধ করার মত পরিকাঠামো আমাদের নেই। ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সদর ব্লকের বিডিওর সঙ্গে কথা বলা হবে। এলাকার বাসিন্দারা ইতিমধ্যে মহকুমাশাসককে স্মারকলিপি দিয়েছেন।” জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বিডিও শ্রদ্ধা সুব্বা বলেন, “নগর বেরুবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের কাছে এ বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি। উফযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy