অঞ্চল কমিটির তৃণমূল সভাপতি তিনি। পেশায় শিক্ষক। কিন্তু অভিযোগ, মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা গ্রাম পঞ্চায়েতের আবাস যোজনায় উপভোক্তাদের তালিকায় নাম রয়েছে ওই তৃণমূল নেতা ধীরেন্দ্রনাথ সাহা ও তাঁর স্ত্রীয়ের। অভিযোগ, ওই তালিকায় নাম রয়েছে সুতপা সাহার। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন। তাঁর স্বামী কলকাতা পুলিশের কর্মী। ওই তালিকায় তাঁর নাম রয়েছে দুবার। এক বার স্বামীর পরিচয়ে, এক বার বাবার পরিচয়ে। অভিযোগ, ওই তালিকায় নাম রয়েছে তিন তলা বাড়ির মালিক, হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী, পঞ্চায়েতের কর্মীরও।
সেই খবর ছড়াতেই শুক্রবার এলাকাবাসীর একাংশের মিছিল, পথ অবরোধ, পঞ্চায়েত ঘেরাও করে বিক্ষোভ হল। প্রকৃত উপভোক্তাদের বাদ দিয়ে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ কেন তৃণমূল নেতা, তাঁদের ঘনিষ্ঠ, ব্যবসায়ীদের নাম তালিকায় তুলল সেই প্রশ্ন তুলে শুরু হয় বিক্ষোভ। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রথমে পথ অবরোধ শুরু হলেও পুলিশের হস্তক্ষেপে তা তুলে নেওয়া হয়। পরে পঞ্চায়েত ঘেরাও করে কয়েকশো বাসিন্দা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ দিন প্রধান, সদস্য, দফতরের কর্মীদের কেউই হাজির হননি। সারা দিন তালাবন্ধই ছিল পঞ্চায়েত দফতর।
হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের বিডিও প্রীতম সাহা বলেন, ‘‘প্রশাসনের তরফে তদন্ত করা হবে। যাঁরা যোগ্য নন, তাঁদের নাম তালিকায় থাকলে তা বাতিল করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে। কী ভাবে তালিকায় নেতা, ব্যবসায়ীদের নাম উঠল তাও খতিয়ে দেখা হবে।’’