বিদ্যুতের সাশ্রয় করতে ইংরেজবাজার ও পুরতন মালদহ শহর জুড়ে বসানো হচ্ছে এলইডি আলো। খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হতে চলেছে পুরাতন মালদহ পুরসভা এলাকাতেও। এর ফলে শহরগুলির সৌন্দর্য্যায়নের পাশাপাশি বিদ্যুৎ বিলের বোঝাও কমবে বলে আশাবাদী পুরসভা কর্তৃপক্ষ।
ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী আমাদের পুরসভার বকেয়া বিদ্যুৎ বিল মিটিয়েছেন। ফের বিলের বকেয়ার পাহাড় যাতে না জমে, তার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। দ্রুত কাজ শেষ হবে।’’ শুধু তাই নয়, অপচয় রুখতে টাইমারও বসানো হচ্ছে বলে জানান কৃষ্ণেন্দুবাবু।
পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বছরের পর বছর ধরে বকেয়া জমে ২৩ কোটি টাকা বিদ্যুৎ বিলের বোঝা চেপেছিল ইংরেজবাজার পুরসভার উপরে। বিধানসভা ভোটের আগে বকেয়া বিল মিটিয়ে দেয় রাজ্য সরকার। নতুন করে যাতে বোঝা আর না চাপে তার জন্য প্রথম থেকেই তৎপর পুর কর্তৃপক্ষ। প্রতি মাসে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা বিদ্যুৎ বিল বাবদ খরচ হয় বলে পুরসভা সূত্রে খবর। শহরের পথবাতিগুলির জন্য খরচ হয় প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা এবং পুরসভা অফিস, মাতৃসদনের বিলের জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা ও জলের পাম্প বাবদ ১০ লক্ষ টাকা করে খরচ হয়।
শহরে ২১টি টাওয়ার লাইট রয়েছে। ইতিমধ্যে অধিকাংশ টাওয়ারে এলইডি লাগানো হয়েছে। বাকিগুলিতে কাজ চলছে। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের টাকায় ইংরেজবাজারের মহানন্দা সেতু থেকে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কেও আলো বসবে। এ ছাড়া কোতোয়ালি থেকে রাজমহল রোড, ফুলবাড়ি থেকে মাধবনগর পর্যন্ত শহরের মূল রাস্তার প্রতিটি বাতিস্তম্ভে বসবে এলইডি।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে আলো জ্বলবে আর নিভবে। এর জন্য ২১টি টাইমার বসানো হচ্ছে বিভিন্ন স্থানে। পুরাতন মালদহেও বসানো হবে এলইডি আলো। পুরসভার ৩০০টি পথবাতির স্ট্যান্ড তৈরি করা হয়েছে। শহরের টাওয়ার লাইটগুলিতেও ব্যবহার করা হবে এই আলো। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষ বলেন, ‘‘এর ফলে বিদ্যুৎ বিল বাবদ ৫০ শতাংশ খরচ কম হবে। একই সঙ্গে খরচ কমবে রক্ষণাবেক্ষণেও। খুব শীঘ্রই আমাদের কাজ শুরু হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy