বিজেপি ক্ষমতায় আসলে দেশে এনআরসি চালু হবে, তৃণমূল তা আটকাতে পারবে না—নির্বাচনী জনসভায় এই দাবি করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। অমিতের সেই সভার এক দিনের মাথায় বৃহস্পতিবার তৃণমূল প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সমর্থনে হেমতাবাদ হাইস্কুলের মাঠে দলের নির্বাচনী জনসভাতে দেশে এনআরসি আটকানোর কথা বললেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। করণদিঘি হাইস্কুলের মাঠে এ দিনই আর একটি সভায় শুভেন্দু বলেন, এনআরসি হলে শুধু সংখ্যালঘুরা নন, হিন্দুরাও সমস্যায় পড়বেন। সেই সভায় তিনি রাজবংশী এবং আদিবাসীদের উন্নয়নে রাজ্য সরকার কী করেছে, তার ফিরিস্তি তুলে ধরেন।
হেমতাবাদের সভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘আপনারা চিন্তা করবেন না। লোকসভা নির্বাচনে কানাইয়াকে জেতান। তৃণমূল দেশে এনআরসি চালু রুখতে সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে।’’ এরপরেই তিনি দাবি করেন, বিজেপি দেশে এনআরসি এনে সংখ্যালঘুদের তাড়াবে। হেমতাবাদ থেকেও সংখ্যালঘুদের তাড়ানো হবে। তাই সাম্প্রদায়িক বিজেপিকে একটিও ভোট দেবেন না। এ দিন জনসভার পর স্থানীয় নেতাদের নিয়ে তিনি হেমতাবাদ সদর এলাকার একটি মন্দির ও একটি মাজারে যান। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘আমরা সব সম্প্রদায়ের বাসিন্দাদের নিয়ে উন্নয়ন চালিয়ে যেতে চাই। সে জন্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গোয়ালপোখের বিধায়ক গোলাম রব্বানিকে মন্ত্রী, রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি হেমতাবাদের বাসিন্দা কবিতা বর্মণকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও ব্রাহ্মণ সম্প্রদায়ের বাসিন্দা অমল আচার্যকে দলের জেলা সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছেন।’’
শুভেন্দু এ দিন করণদিঘির সভায় জোর দেন এনআরসি রোখার উপরেই। তিনি বলেন, ‘‘বিজেপিকে একটিও ভোট নয়।’’
শুভেন্দু বলেন, ‘‘আদিবাসীদের জন্য অলচিকি ভাষার মর্যাদা দিয়েছে তৃণমূল সরকার। তাঁদের শিক্ষা এবং সংস্কৃতি উন্নয়নের জন্য পৃথক বোর্ড করা হয়েছে। তেমনই রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়েছে।’’ আদিবাসীদের স্বনির্ভর করতে বিভিন্ন প্রকল্প গড়ে তোলা হয়েছে। শুভেন্দু জানান, কোচবিহারে ঠাকুর পঞ্চানন বর্মার নামে বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছে। উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি কবিতা বর্মণ রাজবংশী সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। করণদিঘির বিধায়ক মনোদেব সিংহও রাজবংশী সম্প্রদায়ের। শুভেন্দুর মতে, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকল জাতিকে সম্মান দেন। মতুয়াদের জন্য বোর্ড গঠন করেছেন।এই রাজ্য উর্দু ভাষার মর্যাদা দিয়েছে।’’
দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্য পরিবহণমন্ত্রীর নির্দেশ, উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যেতে হবে। পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগ আরও বাড়াতে হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy