সান্ত্বনা: খাতা ছেঁড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়ছে সুপ্রীতি সরকার। বালুরঘাটে সোমবার। ছবি: অমিত মোহান্ত
পরীক্ষাকেন্দ্রে এক ছাত্রীর খাতা ছিঁড়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল। সোমবার বিকেলে বালুরঘাট খাদিমপুর গার্লস হাইস্কুলের মাধ্যমিক পরীক্ষাকেন্দ্রের ঘটনা। এক শিক্ষিকা তথা পরীক্ষকের বিরুদ্ধে বালুরঘাট গার্লস হাইস্কুলের ছাত্রী মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী সুপ্রীতি সরকারের খাতা ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগে পরীক্ষাকেন্দ্রে তুমুল বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। পুলিশ গেলে উত্তেজনা কমে।
এ দিন অঙ্ক পরীক্ষার শেষের ঘণ্টা পড়ার পরে ডিউটিতে থাকা পরীক্ষক এক শিক্ষিকা খাতা সংগ্রহ করতে শুরু করেন। তিনি পরপর খাতা না নিয়ে সুপ্রীতির খাতাটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। সে সময় ওই খাতাটি মাঝখান থেকে দু’ফালা হয়ে যায়। কান্নায় ভেঙে পড়েন সুপ্রীতি। আংশিক জোড়া লেগে থাকা খাতাটি নিয়ে চলে যান অভিযুক্ত পরীক্ষক প্রমীলা সরকার। ঘটনায় ছাত্রীটির পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে অন্য ছাত্রীরা।
খবর পেয়ে অভিভাবকেরা স্কুলের ভেতরে ঢুকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। স্কুলের বাইরেও অভিভাবকদের বিক্ষোভ চলতে থাকে। ঘটনাস্থলে আসেন ডিএসপি-সহ বালুরঘাট থানার পুলিশ। ছুটে যান বালুরঘাটের প্রধান কেন্দ্রের ইনচার্জ নারায়ন কুণ্ডু। তিনি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা এবং ছাত্রীটির পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। এর পরে খাতার সমস্ত পাতা সেলোটেপ দিয়ে লাগিয়ে খাতাটি যাতে মূল্যায়ন করা হয়, তার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট বিভাগে কথা বলবেন বলে নারায়ণবাবু জানান।
সুপ্রীতির কথায়, ‘‘বেল পড়ে যাওয়ার পরেও আমার শেষ একটা অক্ষর লেখা বাকি ছিল। পরীক্ষক পরপর খাতা না নিয়ে আচমকা আমার খাতাটি ছিনিয়ে নিতে যান। সে সময় খাতাটি ৯০ ভাগ ছিঁড়ে যায়।’’ শিক্ষিকার ওই আচরণে তার ভবিষ্যত নষ্ট হতে পারে বলে দাবি করে অঙ্ক খাতাটি মূল্যায়নের আবেদন জানিয়েছে সে।
ওই শিক্ষিকা প্রমীলার দাবি, ইচ্ছাকৃত ভাবে এমনটা করা হয়নি। বালুরঘাট খাদিমপুর গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা সোমা সরকার বলেন, ‘‘সময় উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও ছাত্রীটি লিখছিল। তখন খাতাটি নিতে গিয়ে ছিঁড়ে গিয়েছে। আমরা খাতাটি মেরামত করে পাঠাচ্ছি মূল্যায়নের জন্য।’’ এই ব্যাপারে বোর্ডের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধান কেন্দ্রের ইনচার্জ। খাতাটি যাতে মূল্যায়ন করা হয় তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy