Advertisement
E-Paper

রায়পুর বাগান: কেন্দ্রের কোর্টে বল শ্রমমন্ত্রীর

বছরখানেক আগে, নবান্নের বৈঠকে এই বাগানের মালিক এসেছিলেন বলে খবর। কিন্তু তার পর থেকে জেলা প্রশাসন পাঁচটি বৈঠক ডাকলেও রায়পুরের মালিক পক্ষ আসেনি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২২ ০৬:৩৩
শ্রম এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক।

শ্রম এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। ফাইল চিত্র।

চিঠি পাঠালে তাঁরা আসেন না। পুলিশ পাঠানোর কথা বললে ‘আসব’ বলেন, কিন্তু আসেন না। জলপাইগুড়ির বন্ধ রায়পুর চা-বাগানের মালিকপক্ষকে নিয়ে এমনই ‘বিড়ম্বনায়’ রাজ্য সরকার। এই অভিযোগ তুললেন শ্রম এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক স্বয়ং। যিনি শনিবার দুপুরে বন্ধ রায়পুর চা-বাগান থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার দূরে দাঁড়িয়ে তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনে বক্তব্য রেখেছেন। সম্মেলন থেকে বার হওয়ার পথে বন্ধ রায়পুর চা-বাগানের প্রসঙ্গ ওঠায় এমন মন্তব্য করেন মন্ত্রী। বাগান প্রসঙ্গে আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রের দিকেও।

বন্ধ রায়পুর চা-বাগান নিয়ে জেলা তৃণমূলের অস্বস্তিও দীর্ঘদিনের। জলপাইগুড়ি জেলার মধ্যে এই চা-বাগানটিই এখনও বন্ধ। এই বাগান খোলা নিয়ে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের জেলা সভাপতি রাজেশ লাকড়া এবং বাগানের শ্রমিক-নেতা প্রধান হেমব্রম বাক-যুদ্ধে জড়িয়েছেন। প্রধান হেমব্রম স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধানও। তিনি সরাসরি আক্রমণ করেছেন দলের বিধায়ককেও। এ দিন জলপাইগুড়ির কালিয়াগঞ্জের মাঠে ব্লক তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনের মঞ্চে ছিলেন প্রধান হেমব্রম। তিনি অবশ্য এ দিনের বক্তা ছিলেন না। কালিয়াগঞ্জ থেকে কিলোমিটার-দু’য়েক এগোলেই বন্ধ রায়পুর চা-বাগান।

বছরখানেক আগে, নবান্নের বৈঠকে এই বাগানের মালিক এসেছিলেন বলে খবর। কিন্তু তার পর থেকে জেলা প্রশাসন পাঁচটি বৈঠক ডাকলেও রায়পুরের মালিক পক্ষ আসেনি। এই পরিস্থিতিতে কী করণীয় জানতে চেয়ে জেলা প্রশাসন রাজ্যকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। যদিও রায়পুর চা-বাগান নিয়ে আশ্বাসের কথা শোনাতে পারেননি শ্রমমন্ত্রীও। এ দিন মলয় ঘটক বলেন, ‘‘রায়পুরের মালিককে চিঠি পাঠালে আসেন না। পুলিশ পাঠানোর কথা বললেও আসার আশ্বাস দিয়ে আসেন না। এটাই সমস্যার।’’ এই জটিল পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কোর্টেই বল ঠেলেছেন শ্রমমন্ত্রী। তাঁর যুক্তি, ‘‘চা-আইন কেন্দ্রীয় বিষয়। সে আইন অনুযায়ী, কোনও পদক্ষেপ করতে হলে কেন্দ্রকেই করতে হবে। তবে আমরাও দেখছি, কী করা যায়।’’ যা শুনে জলপাইগুড়ির বিজেপি সাংসদ জয়ন্ত রায়ের প্রতিক্রিয়া, ‘‘রাজ্য ব্যর্থ হলেই কেন্দ্রের দোষ দেখে। আসলে, ওদের জন্যই বাগানগুলো বন্ধ হয়েছে।’’

দুর্গাপুজোয় এ-বাগান বিষণ্ণ ছিল। সামনে আলোর উৎসব। আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন না বন্ধ বাগানের শ্রমিকেরা।

Malay Ghatak Jalpaiguri Tea Garden
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy