E-Paper

সুবর্ণে আপ্লুত মালদহ

জন্মসূত্রে নিউইয়র্কবাসী এই বিস্ময় প্রতিভা গণিত ও পদার্থবিদ্যায় তাঁর অসাধারণ জ্ঞানের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে।

জয়ন্ত সেন 

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ০৮:৫৫
গণিত,পদার্থবিদ্যা নিয়ে আলোচনায় সুবর্ণ আইজ্যাক বারি। মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে।

গণিত,পদার্থবিদ্যা নিয়ে আলোচনায় সুবর্ণ আইজ্যাক বারি। মালদহ কলেজ অডিটোরিয়ামে। ছবি: উত্তম বিশ্বাস।

বিস্ময়-কিশোর সুবর্ণ আইজ্যাক বারির বিজ্ঞান-প্রতিভার বিচ্ছুরণে মাতল মালদহ। বুধবার সুবর্ণ প্রথমে মালদহ কলেজে আলোচনাসভায় অংশ নেয় ও পরে যায় গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। দু’টি জায়গাতেই ছাত্রছাত্রী থেকে শুরু করে শিক্ষক ও শিক্ষানুরাগীদের ভিড়ে ঠাসা ছিল সভাকক্ষ। সকলে যাতে সুবর্ণর কথা শুনতে পারে, সে জন্য মালদহ কলেজে সভাকক্ষে এবং গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সভাকক্ষের বাইরে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়। মালদহে এ দিন বক্তৃতা করে আপ্লুত ‘ছোট আইনস্টাইন’ সুবর্ণ।

জন্মসূত্রে নিউইয়র্কবাসী এই বিস্ময় প্রতিভা গণিত ও পদার্থবিদ্যায় তাঁর অসাধারণ জ্ঞানের জন্য আন্তর্জাতিক মঞ্চে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব জুড়ে একাধিক শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রিত বক্তা হিসেবে বক্তব্যও রেখেছে সে। জানা গিয়েছে, অল্প বয়সেই সুবর্ণ নিউটন, আইনস্টাইন ও স্টিফেন হকিংয়ের কাজ নিয়ে জ্ঞান অর্জন করে। কোয়ান্টাম ফিজ়িক্স, রিলেটিভিটি, ক্যালকুলাস—সে সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে সক্ষম। আপাতত গণিত চর্চাতেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আলোচনায় যোগ দিচ্ছে সুবর্ণ। সে সূত্রেই তার মালদহে আসা।

এ দিন সকালে কলকাতা থেকে মালদহ স্টেশনে নামতেই মালদহ কলেজের তরফে তাকে সংবর্ধিত করা হয়। ১১টা নাগাদ সে মালদহ কলেজের অধ্যক্ষের ঘরে আসে। কলেজ থেকে এনসিসি ও এনএসএস-এর পড়ুয়ারা তাঁকে গার্ড অফ অনার দিয়ে সভাস্থল দুর্গাকিঙ্কর সদনে নিয়ে যায়। সেখানে সুবর্ণ ‘সত্যেন্দ্রনাথ বোস অ্যান্ড কোয়ান্টাম মেকানিক্স’ বিষয়ে আলোচনা করে। দেড় ঘণ্টা আলোচনার পাশাপাশি বোর্ডে বিভিন্ন ধরনের অঙ্ক অনুশীলন করে দেখায় সে। ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর-পর্বে যোগ দিয়ে নানা জটিল অঙ্কের সমাধান করে সুবর্ণ। মালদহ কলেজের অধ্যক্ষ মানস বৈদ্য বলেন, ‘‘প্রতিভাবান এই কিশোরের আলোচনায় আমাদের ছাত্রছাত্রাা বিজ্ঞানের চর্চায় অনুপ্রাণিত হল।’’ বিকেলে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে গাছ লাগায় সুবর্ণ। পরে অরবিন্দ সভাগৃহে আলোচনাসভায় সে যোগ দেয়। সভাগৃহ ছিল ভিড়ে ঠাসা। তাই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে জায়ান্ট স্ক্রিনের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিরেজিস্ট্রার বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘জ্ঞানচর্চায় বয়স মাপকাঠি— এই রীতি ভেঙে দিয়েছে সুবর্ণের মতো বিস্ময়-কিশোর।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Malda

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy