রক্তে ভেসে যাচ্ছে সারা শরীর। সেই অবস্থাতেই আততায়ীকে ধরতে ছুটছেন এক ব্যক্তি। ভক্তিনগর থানার অদূরে এমন দৃশ্য দেখে আতঙ্কে চিৎকার শুরু করে দেন পথচলতি সাধারণ বাসিন্দারা। প্রায় ২৫ মিটার দৌড়েও আততায়ীকে ধরতে না পেরে পড়ে যান ওই ব্যক্তি। মঙ্গলবার দুপুরের ঘটনা।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারণা, গাড়ি কেনাবেচা নিয়ে বিবাদের জেরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে ভক্তিনগর থানার পুলিশ। শিলিগুড়ি কমিশনারেটের ডিসিপি গৌরব লাল বলেন, ‘‘বিষয়টা খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’
শিলিগুড়ির গণেশ ঘোষ পাড়ার বাসিন্দা প্রদীপ ঘোষের ভক্তিনগর থানার রামচন্দ্রনগরে একটি গ্যারাজ রয়েছে। পাশাপাশি পুরনো গাড়ি কেনাবেচার ব্যবসাও করতেন তিনি। এ দিন দুপুরে বাড়িতে খেতে যাওয়ার সময় গ্যারাজের পাশেই থাকা অফিস ঘর বন্ধ করতে এসেছিলেন তিনি। তখনই অফিসের ভিতরেই থাকা এক ব্যক্তি ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাঁর উপর এলোপাথাড়ি হামলা চালায়। প্রদীপবাবুর গলার বাঁদিকে, হাতে এবং কোমরের পিছনে আঘাত লাগে। ওই অবস্থাতেই তিনি দুষ্কৃতীকে ধরার জন্য তাড়া করেন। কিন্তু কিছু দূর গিয়েই তিনি পড়ে যান। স্থানীয় বাসিন্দা সাবিত্রী ছেত্রী বলেন, ‘‘বাইরে কাজ করছিলাম। তখনই দেখি একজন রক্ত মাখা ছুরি নিয়ে দৌড়চ্ছে আর তাকে ধরতে পিছনে ছুটছেন প্রদীপদা। এরপর আমি গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করি। এলাকার লোকজন মিলে তাঁকে কাছেই একটি নার্সিং হোমে ভর্তি করে দেওয়া হয়।’’
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ওই গ্যারেজের কর্মী ইসলাম আনসারি। তিনি বলেন, ‘‘দাদা এসময় প্রতিদিনই খেতে যায়। এ দিন ওই লোকটা অফিসের ভিতরেই বসেছিল। আমি গ্যারাজে কাজ করছিলাম। দাদা অফিস বন্ধ করার তোড়জোড় করছিল, তখনই হামলা করে।’’ ওই এলাকার বাসিন্দারা বলেন, প্রদীপবাবু ছাড়াও এক ব্যক্তি ওই দুষ্কৃতীকে ধরার চেষ্টা করছিলেন, তাঁকেও মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওই দুষ্কৃতী। এরপর দৌড়ে পালিয়ে যায় সে। তার পরনে ছিল কালো টি শার্ট ও জিনসের প্যান্ট।
ঘটনার আকস্মিতায় হতবাক প্রদীপবাবুর ভাই প্রশান্ত ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘দাদার সাথে কারও কোনও বিরোধ রয়েছে এমনটা কোনওদিন শুনিনি। কেন এমন হল বুঝতে পারছি না।’’ ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন শিলিগুড়ি মার্চেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি সঞ্জয় টিবরেওয়াল। তিনি বলেন, ‘‘ভীষণ দুঃখজনক ও নিন্দনীয় ঘটনা। পুলিশকে দ্রুত তদন্ত করে আততায়ীকে গ্রেফতার করার জন্য দাবি জানিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy