Advertisement
E-Paper

শ্রদ্ধা জানাতে হাজির নেতারা

এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ মেচপাড়া ফুটবল মাঠে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে রাজীবের দেহ পৌঁছয়। তার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারি।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৯ ০৬:১৮
রাজীব থাপাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

রাজীব থাপাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। নিজস্ব চিত্র

নিহত জওয়ান রাজীব থাপার দেহ কালচিনির মেচপাড়ার বাড়িতে পৌঁছতেই তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে থাকতে চাইলেন তৃণমূল-বিজেপি দুই শিবিরের নেতারাই। রাজীবের শেষ যাত্রা বের হওয়ার পর তাঁর পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া নিয়ে চাপানউতোরেও জড়ালেন দু’দলের নেতারা।

এ দিন সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ মেচপাড়া ফুটবল মাঠে সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে রাজীবের দেহ পৌঁছয়। তার আগেই সেখানে পৌঁছে গিয়েছিলেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া কালচিনির বিধায়ক উইলসন চম্প্রমারি। ততক্ষণে রাজীবের বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছেন বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা, তৃণমূলের কালচিনি ব্লক সভাপতি অসীম মজুমদার-সহ দু’দলের একঝাঁক নেতা। রাজীবের দেহ বাড়িতে পৌঁছনোর কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই সেখানে পৌঁছে যান উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। প্রায় পয়তাল্লিশ মিনিট দেহ ঘরে রাখার পর বাড়ির সামনে অস্থায়ী মঞ্চে সকলের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য নিয়ে আসা হয়। সেখানে দীর্ঘ সময় তৃণমূল ও বিজেপির নেতাদের কার্যত একসঙ্গেই দেহের পাশে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। সেইসঙ্গে তাঁর পরিবারের পাশে থাকার বার্তা দিতেও শোনা যায় দু’দলের নেতাদের। যদিও এর পেছনে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছেন দু’দলের নেতারাই।

উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের কথায়, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমায় নির্দেশ দিয়েছেন। সেজন্যই তাঁর বার্তা নিয়ে এ দিন বীর রাজীব থাপার বাড়িতে এসেছিলাম। এ ব্যাপারে খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীকে একটা রিপোর্ট দেব। রাজ্য সরকার নিহত জওয়ানের পরিবারের পাশে রয়েছে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, ‘‘দেশের সেবা করতে গিয়ে যাঁরা নিজের জীবন দেন, তাঁদের পাশে দলমত নির্বিশেষে সবার থাকা উচিত বলে আমরা মনে করি। সেজন্যই শনিবারও আমরা রাজীব থাপার বাড়িতে এসেছিলাম। রবিবারও এসেছি।’’

রাজীব থাপাকে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। নিজস্ব চিত্র

তবে নিহত রাজীব থাপার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করার প্রশ্নে দুই শিবিরের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদবাবুর অভিযোগ, ‘‘দেশকে রক্ষা করতে গিয়ে কোনও বীর নিহত হলে বিভিন্ন রাজ্যের সরকার সেই পরিবারগুলিকে মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করে। পশ্চিমবঙ্গে যা দেখা যায়না। রাজীব থাপার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা করার ব্যাপারেও রাজ্যের তরফে এখনও কোনও ঘোষণা শোনা যায়নি। এটা দুর্ভাগ্যজনক।’’ তার পাল্টা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজীব থাপার পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতার করার সময় এখনও চলে যায়নি। এ ধরনের অভিযোগ তোলার আগে বিজেপি নেতাদের বলা উচিত, কেন্দ্রীয় সরকার এখনও পর্যন্ত রাজীব থাপার পরিবারের জন্য কী করেছে?’’

Death Jawan Indian Army Pakistan
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy