কোচবিহারে আলোর তোরণ। —নিজস্ব চিত্র।
কোথাও চার্লি চ্যাপলিন হাত নাড়ছে। কোথাও আবার মাথা তুলে সবাইকে দেখছে জিরাফ। কোথাও আবার অলিম্পিক জয়ী দীপা কর্মকারকে দেখা যাচ্ছে। আলোকসজ্জায় এই সবই ফুটে উঠছে পুজোর কোচবিহারে।
কোচবিহারের দুর্গাপুজো বলতেই মনে পড়ে চন্দননগরের আলো। কে কাকে ছাপিয়ে কতটা দক্ষ কারিগর দিয়ে চন্দনগরের আলো ফুটিয়ে তুলতে পারে সেই লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। চতুর্থীর দিন থেকেই জমে উঠতে শুরু করেছে কোচবিহারের আলোর লড়াই। তা দেখতে ইতিমধ্যেই ভীড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরাও। তাঁদের অনেকেই বলছেন, “এ হচ্ছে উপরি পাওনা। ভেবেছিলাম সপ্তমীর দিন থেকেই পুজো দেখতে যাব। কিন্তু আলো যখন জ্বলে গিয়েছে, আর দেরি করার কোনও মানে হয় না।”
কোচবিহারের শান্তি কুটীর ক্লাব এ বারে আলোর কারসাজি দেখাতে কোমর বেঁধে নেমেছে। চন্দননগরের আলো তো বটেই, তারা নিয়ে এসেছে মেকানিক্যাল আলো। সেই আলোতে দেখানো হবে চার্লি চ্যাপলিন, টম-জেরির দুষ্টুমি। কী এই মেকানিক্যাল আলো? উদ্যোক্তারা জানান, ওই আলো সাধারণ অন্য আলোর থেকে আরও বেশি সূক্ষ। তাই আলোর মাধ্যমে যা দেখানো হয় তা স্পষ্ট ভাবে ফুটে ওঠে। সেই সঙ্গে, আলোতে দেখানো ছবি সহজ ভাবে নড়াচড়া করতে পারে।
মেকানিক্যাল আলোর সঙ্গে অবশ্য চন্দননগরের সাধারণ আলোও থাকবে। মেকানিক্যাল আলোতে এ বারে ভরিয়ে দিয়েছে চালতাতলা যুব সঙ্ঘও। চন্দননগর থেকে আনা আলোয় সেখানে জিরাফের সঙ্গেই থাকবে, ব্যাঙ, মাছ-সহ নানা পশুপাখি। এখন থেকেই তাদের ওই আলো দেখতে ভিড় জমাতে শুরু করেছেন দর্শনারথীরা। পুজো কমিটির সম্পাদক অসিত ঘোষ বলেন, “এ বারে আমাদের পঞ্চাশ বছর। তাই মেকানিক্যাল আলো আনা হয়েছে। এটা কোচবিহারে প্রথম।” শান্তি কুটীর ক্লাবের সম্পাদক রাকেশ চৌধুরী বলেন, “প্রতি বছরই আমরা চন্দননগরের আলো উপহার দেওয়ার চেষ্টা করি। এ বারেও সেই উপহার দেওয়া হবে।”
অলিম্পিকের গর্বের স্মৃতি রোমন্থন করতে খাগড়াবাড়িতে তুলে ধরা হয়েছে দীপা কর্মকারের ছবি। অনেকে আবার মাধ্যমে নানা সরকারি প্রকল্প, নির্মল গ্রামের কথাও তুলে ধরেছেন। সব মিলিয়ে আলো ইতিমধ্যেই মাতিয়ে দিয়েছে শহর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy