Advertisement
E-Paper

কেরল যাওয়ার নাম করে কোচবিহারে, হাসপাতালে মালদহের বাসিন্দার মৃত্যু ঘিরে দানা বাঁধছে রহস্য

স্ত্রী, সন্তান থাকলেও এলাকারই এক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জাহাঙ্গিরের। সেই মহিলার বিয়ে হয়েছে কোচবিহারে। সেই কারণেই কি জাহাঙ্গির কেরল যাওয়ার কথা বাড়িতে বলে কোচবিহারে এসেছিলেন?

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:২৪
representational image

— প্রতীকী ছবি।

কোচবিহারের মাথাভাঙার লজ থেকে উদ্ধার মালদহের বাসিন্দার দেহ। লজের দরজা ভেঙে মালদহের ওই পরিযায়ী শ্রমিককে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করলে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃতের নাম মহম্মদ জাহাঙ্গির। বয়স আনুমানিক ৩৫ বছর। কেরলে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে যাচ্ছেন বলে মালদহের বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন জাহাঙ্গির। তার পর থেকেই তাঁর আর কোনও খোঁজ মিলছিল না।

জানা গিয়েছে, ওই শ্রমিক মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর থানার মিলনগরের বাসিন্দা। শনিবার সকাল ১১টা নাগাদ মাথাভাঙার একটি লজে ওঠেন তিনি। খেয়েদেয়ে ঘরে ঢুকে আর ঘর থেকে না বেরোনোয় বিষয়টি লজকর্মীদের নজরে আসে। ডাকাডাকি করে কোনও সাড়া না পেয়ে মাথাভাঙ্গা থানায় খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘরের দরজা ভেঙে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে। চিকিৎসার জন্য মাথাভাঙা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। রাতেই তাঁর মৃত্যু হয়।

মাথাভাঙ্গা থানার আইসি ভাস্কর প্রধান জানান, রাতেই হাসপাতালে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মাথাভাঙা মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে। মাথাভাঙা হাসপাতালের চিকিৎসক তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘অচৈতন্য অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। ফলে কী কারণে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। এখন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া বলা সম্ভব নয়।’’

মৃত্যুর খবর পেয়ে মাথাভাঙ্গায় চলে আসেন জাহাঙ্গিরের আত্মীয় আবু হায়াত। তিনি বলেন, ‘‘গত ২০ ডিসেম্বর জাহাঙ্গির কাজের জন্য কেরল যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন। তার পর থেকেই আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।’’ কেরলে তিনি গিয়েছেলেন কি না, তা জানা নেই আবুর। তিনি জানান, মিলনগড় গ্রামে তাঁর স্ত্রী, পুত্র রয়েছে। পাশাপাশি, এলাকারই এক মহিলার সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ওই মহিলার বিয়ে হয়েছিল কোচবিহারে। কোচবিহারে ওই মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে এসেই মাথাভাঙার লজে উঠেছিলেন জাহাঙ্গির বলে মনে করছেন আবু। তিনি বলছেন, ‘‘আমাদের সন্দেহ, এই মৃত্যুর পিছনে ওই মেয়েটির হাত রয়েছে। এ দিন মাথাভাঙা মর্গে ময়নাতদন্তের পর জাহাঙ্গিরের দেহ তাঁর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’’

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy