বেচাকেনা: মালদহের গাজলের কৃষিবাজারে চলছে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা। —নিজস্ব চিত্র।
কাকা-জ্যাঠার নথি দেখিয়ে চাষি সেজে সরকারি কৃষক বাজারে ধান বেচে ফড়েরা চেক নিয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ। শনিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ও তপনের কিসান মান্ডিতে জেলার সর্বোচ্চ প্রশাসনিক কর্তাদের নজরদারির মধ্যেই এটা ঘটেছে বলে অভিযোগ। যদিও খাদ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফড়েরা একমাস আগেই কিসান মান্ডিতে চাষি হিসেবে নিজেদের নাম নথিভুক্ত করেছেন। ফলে এ দিন তাঁদের আলাদা করে চেনার কোনও উপায় ছিল না। কিন্তু এই ঘটনায় রাজ্যে সহায়ক মূল্যে ধান কেনা ব্যবস্থায় বড়সড় গাফিলতি ধরা পড়ল।
এ দিন তপন, বালুরঘাট, গঙ্গারামপুরের সরকারি শিবিরে চেক বিলি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসক, সভাধিপতি থেকে জেলার প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সামনেই চাষি সেজে ধান বিক্রি করে গেলেন বেশ কয়েকজন ফড়ে। বিষয়টি স্বীকারও করেছেন জেলা খাদ্য দফতরের এক আধিকারিক। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই আধিকারিকে বক্তব্য, কোনও ফড়েকে এভাবে আটকানো সম্ভব নয়। তিনি জানান, কিসান মান্ডিতে প্রায় একমাস আগেই আত্মীয়দের জমির নথি দেখিয়ে প্রকৃত চাষিদের সঙ্গে তাঁরাও ধান বিক্রির জন্য নাম নথিভুক্ত করেছেন। এরপর ডেট পেয়ে এ দিন তাঁদের কেউ ১২ কুইন্টাল, কেউ ১৫ কুইন্টাল ধান দিয়ে চেক নিয়েছেন। জেলা খাদ্য নিয়ামক অমরেন্দ্র রায়ের বক্তব্য, চেহারা দেখে ফড়েদের আটকানোর চেষ্টা হচ্ছে। তবে তা করতে গিয়ে আবার প্রকৃত চাষি আটকে না যান, সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। বিষয়টি খুব স্পর্শকাতর বলে অমরেন্দ্র জানান। জেলা খাদ্য দফতর সূত্রের খবর, আটটি ব্লকের আটটি কিসান মান্ডির পাশাপাশি বালুরঘাট গঙ্গারামপুর, তপন ও কুমারগঞ্জ মোট ১২টি কেন্দ্র থেকে শিবির করে ধান কেনা চলছে।
এ দিন জেলার খাদ্য নিয়ামক অমরেন্দ্র রায় আরও বলেন, ‘‘জেলার সিপিসি কেন্দ্রগুলিতে চেকের মাধ্যমে ধান কেনা হচ্ছে। ক্যাম্পগুলিতে সেই ব্যবস্থা এখনও চালু হয়নি। তবে দ্রুত ক্যাম্পগুলিতেও চেকের মাধ্যমে ধান কেনা হবে।’’
প্রশাসন সূত্রে খবর, কৃষকদের হয়রানি কমাতে সরাসরি ব্যাঙ্কে এনইএফটির মাধ্যমে টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা তুলে দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে চেক ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। কৃষকরা কেন্দ্রগুলিতে ধান দিয়ে ওইদিনই হাতে হাতে চেক পেয়ে যাবেন। সেই চেক ব্যাঙ্কে জমা করলেই ভাঙিয়ে নেওয়া যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy